ETV Bharat / bharat

SC Quashes Ban on Channel: 'দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সমাজের জন্য জরুরি', মন্তব্য প্রধান বিচারপতির

একটি মালয়ালম চ্যানেলের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করতে অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই সিদ্ধান্ত অটুট রেখেছিল হাইকোর্টও ৷ আজ চ্যালেনটির বিরুদ্ধে সেই রায় খারিজ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷

Supreme Court
সুপ্রিম কোর্ট
author img

By

Published : Apr 5, 2023, 2:10 PM IST

নয়াদিল্লি, 5 এপ্রিল: সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে জাতীয়তাবাদ-বিরোধী বলা যায় না ৷ একটি চ্যানেল নিয়ে রায় দিতে গিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় একথা বললেন ৷ কেরলের একটি মালয়ালম সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট ৷ বুধবার তা খারিজ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ৷ এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, "সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সমাজের জন্য জরুরি" ৷

এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার সংবাদমাধ্যমটির লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করতে অস্বীকার করে ৷ আর এই সিদ্ধান্তকে কার্যত সিলমোহর দেয় হাইকোর্ট ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, তিনি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে গিয়েছেন ৷ কারণ, হাইকোর্ট তার নির্দেশের সমর্থনে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি ৷

এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, মালয়লাম নিউজ চ্যানেলটির প্রচার বন্ধের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে জড়িত ? এর পক্ষে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিয়ে রাজ্যের বিষয়টি প্রমাণ করা উচিত ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাঁর মত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে একটি সাধারণ দাবি করা হয়েছে ৷ আর এই রিপোর্টগুলি গোপনীয় ৷ তিনি বলেন, "আমরা এধরনের সওয়াল-জবাব গ্রহণ করতে পারছি না ৷ শুধুমাত্র তথ্য অনুসন্ধান রিপোর্ট যথেষ্ট নয় ৷ সিবিআই ও অন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে এর প্রেক্ষাপট ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে ৷"

তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, "সব রিপোর্টই গোপনীয়, এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় ৷ এটি স্বচ্ছ ব্যবস্থার পরিপন্থী ৷ জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই কারণে যে প্রকাশ্যে আনা যাবে না, তার পক্ষে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি ৷ এক্ষেত্রে সরকার জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নাগরিকদের অস্বীকার করছে ৷ কিন্তু দেশের মানুষ আইনত তা জানতে বাধ্য ৷"

সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, নিরাপত্তার কারণ দর্শিয়ে লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ করতে দেওয়া হয়নি ৷ অথচ সেই কারণটি ঠিক কী, তা পরিষ্কার করে জানানো হল না ৷ এদিকে শুধুমাত্র আদালতে একটি সিল করা খামের মধ্যে করে তা জমা দেওয়া হচ্ছে ৷ এই কাজ স্বাভাবিক বিচারের নীতি এবং বিশ্বাসের অধিকারের প্রক্রিয়াকে লঙ্ঘন করছে ৷ কেবল দেশের নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে, এটা প্রমাণিত হয় না ৷ সরকার জাতীয় নিরাপত্তার কারণকে নাগরিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে ৷ এটি আইনের শাসনের সঙ্গে খাপ খায় না ৷

প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "স্বাধীন সংবাদমাধ্যম সমাজের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় ৷ গণতন্ত্রের চাকাকে ঠিক পথে ঘোরাতে সত্য কথা বলা সংবাদমাধ্যমের কর্তব্য ৷ সরকার-বিরোধী সমালোচনাকে জাতীয়তাবাদ-বিরোধী বলা যায় না ৷ নিরাপত্তার ব্যাপারটি স্পষ্ট না করার প্রক্রিয়ায় বাকস্বাধীনতা স্তব্ধ হয়ে যায় ৷"

আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে আরও অবনতি ভারতের

নয়াদিল্লি, 5 এপ্রিল: সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে জাতীয়তাবাদ-বিরোধী বলা যায় না ৷ একটি চ্যানেল নিয়ে রায় দিতে গিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় একথা বললেন ৷ কেরলের একটি মালয়ালম সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট ৷ বুধবার তা খারিজ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ৷ এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, "সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সমাজের জন্য জরুরি" ৷

এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার সংবাদমাধ্যমটির লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করতে অস্বীকার করে ৷ আর এই সিদ্ধান্তকে কার্যত সিলমোহর দেয় হাইকোর্ট ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, তিনি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে গিয়েছেন ৷ কারণ, হাইকোর্ট তার নির্দেশের সমর্থনে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি ৷

এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, মালয়লাম নিউজ চ্যানেলটির প্রচার বন্ধের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে জড়িত ? এর পক্ষে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিয়ে রাজ্যের বিষয়টি প্রমাণ করা উচিত ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাঁর মত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে একটি সাধারণ দাবি করা হয়েছে ৷ আর এই রিপোর্টগুলি গোপনীয় ৷ তিনি বলেন, "আমরা এধরনের সওয়াল-জবাব গ্রহণ করতে পারছি না ৷ শুধুমাত্র তথ্য অনুসন্ধান রিপোর্ট যথেষ্ট নয় ৷ সিবিআই ও অন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে এর প্রেক্ষাপট ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে ৷"

তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, "সব রিপোর্টই গোপনীয়, এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় ৷ এটি স্বচ্ছ ব্যবস্থার পরিপন্থী ৷ জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই কারণে যে প্রকাশ্যে আনা যাবে না, তার পক্ষে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি ৷ এক্ষেত্রে সরকার জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নাগরিকদের অস্বীকার করছে ৷ কিন্তু দেশের মানুষ আইনত তা জানতে বাধ্য ৷"

সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, নিরাপত্তার কারণ দর্শিয়ে লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ করতে দেওয়া হয়নি ৷ অথচ সেই কারণটি ঠিক কী, তা পরিষ্কার করে জানানো হল না ৷ এদিকে শুধুমাত্র আদালতে একটি সিল করা খামের মধ্যে করে তা জমা দেওয়া হচ্ছে ৷ এই কাজ স্বাভাবিক বিচারের নীতি এবং বিশ্বাসের অধিকারের প্রক্রিয়াকে লঙ্ঘন করছে ৷ কেবল দেশের নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে, এটা প্রমাণিত হয় না ৷ সরকার জাতীয় নিরাপত্তার কারণকে নাগরিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে ৷ এটি আইনের শাসনের সঙ্গে খাপ খায় না ৷

প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "স্বাধীন সংবাদমাধ্যম সমাজের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় ৷ গণতন্ত্রের চাকাকে ঠিক পথে ঘোরাতে সত্য কথা বলা সংবাদমাধ্যমের কর্তব্য ৷ সরকার-বিরোধী সমালোচনাকে জাতীয়তাবাদ-বিরোধী বলা যায় না ৷ নিরাপত্তার ব্যাপারটি স্পষ্ট না করার প্রক্রিয়ায় বাকস্বাধীনতা স্তব্ধ হয়ে যায় ৷"

আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে আরও অবনতি ভারতের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.