ETV Bharat / bharat

Independence Special : বয়স ছিল মাত্র 13, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন কাটিহারের ধ্রুব কুণ্ডু

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন অপরিচিত নাম ধ্রুব কুণ্ডু ৷ 1942 সালে তিনি মহাত্মা গান্ধির ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন৷ মাত্র 13 বছর বয়সে দেশের জন্য নিজের প্রাণ বলিদান করেন তিনি ৷

author img

By

Published : Sep 26, 2021, 6:03 AM IST

Independence Special
বয়স ছিল মাত্র 13, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন কাটিহারের ধ্রুব কুণ্ডু

কাটিহার (বিহার), 26 সেপ্টেম্বর: বহু কঠিন লড়াইয়ের ফলে প্রাপ্ত আমাদের এই স্বাধীনতা ৷ এক দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের দেশে রাজত্ব করেছে ব্রিটিশরা ৷ কিন্তু সে সময়েও কিছু বীর ছিলেন ৷ বীর অবশ্য সবসময়ই থাকেন ৷ এমন কেউ যিনি মাথা উঁচু করে লড়াই করেন ৷ কারওর কথা আমরা জানতে পারি, কেউ কেউ থেকে যান প্রচারের আলোর বাইরে ৷ কিন্তু দেশের জন্য তাঁদের অবদানও কিছু কম নয় ৷ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্যও এই কথাটি সমান প্রযোজ্য ৷

এমনও কেউ কেউ ছিলেন যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বস্ব দিয়ে লড়েছিলেন ৷ কিন্তু কখনও প্রচারের আলোয় আসেননি ৷ বিষয়টা নিয়ে তাঁরা কখনও ভাবিতও ছিলেন না ৷ তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল স্বাধীন ভারত ৷ এরকমই একজন অপরিচিত স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম হল বিহারের পূর্ণিয়া জেলার ধ্রুব কুণ্ডু ৷ যিনি ব্রিটিশ ফৌজের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : কেরালার পাজহাসসি রাজা সংগঠিত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তির-ধনুক নিয়ে লড়াই করেছিলেন

ধ্রুব কুণ্ডু স্মারক নির্মাণ আন্দোলনের প্রধান গৌতম ভার্মার কথায়, "ধ্রুব কুণ্ডু এমন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন যিনি দেশের প্রতি আবেগ ও ভালবাসার উপর ভর করে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ৷ তিনি প্রমাণ করেছিলেন, দেশ মাতৃকাকে ভালবাসতে বয়স কোনও বাধা হতে পারে না ৷ তিনি নির্ভয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন ৷"

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন অপরিচিত নাম ধ্রুব কুণ্ডু ৷ 1942 সালে তিনি মহাত্মা গান্ধির ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন ৷ 1942 সালের 11 অগাস্ট বিপ্লবীরা রেজিস্ট্রি দফতরে আগুন লাগিয়ে দেন এবং সমস্ত নথিপত্র পুড়িয়ে দেন ৷ ওই বছরেরই 13 অগাস্ট বেশ কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামী কাটিহার নগরের সাব-রেজিস্ট্রারের দফতরে ভাঙচুর করেন ৷ মুনসিফ কোর্ট-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে তাঁরা ব্রিটিশদের পতাকা সরিয়ে ভারতের তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ৷

বয়স ছিল মাত্র 13, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন কাটিহারের ধ্রুব কুণ্ডু

আরও পড়ুন : Independence Special : যোদ্ধা, সুরের সাধক রাম সিং ঠাকুরিকে বেহালা উপহার দিয়েছিলেন নেতাজি

"মাত্র 13 বছরের একটি ছেলেও চেয়েছিল ওই বিপ্লবীদের ওই দলে যোগ দিতে ৷ কাটিহারের এসডিও মুখার্জীর বাধা সত্বেও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ওই আন্দোলনে যোগ দেন ধ্রুব ", জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ভোলানাথ অলোক ৷ তাঁর এই বীরত্ব মেনে নিতে পারেনি ব্রিটিশ ফৌজ ৷ তারা বীর ধ্রুবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৷ একটি বুলেট গিয়ে লাগে ধ্রুবর উরুতে ৷ গুরুতর আহত হন তিনি ৷ চিকিৎসার জন্য তাঁকে পূর্ণিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু 1942 সালের 15 অগাস্ট সকালে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ ধ্রুব কুণ্ডু হলেন দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা অন্যতম কমবয়সী স্বাধীনতা সংগ্রামী ৷

কাটিহার (বিহার), 26 সেপ্টেম্বর: বহু কঠিন লড়াইয়ের ফলে প্রাপ্ত আমাদের এই স্বাধীনতা ৷ এক দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের দেশে রাজত্ব করেছে ব্রিটিশরা ৷ কিন্তু সে সময়েও কিছু বীর ছিলেন ৷ বীর অবশ্য সবসময়ই থাকেন ৷ এমন কেউ যিনি মাথা উঁচু করে লড়াই করেন ৷ কারওর কথা আমরা জানতে পারি, কেউ কেউ থেকে যান প্রচারের আলোর বাইরে ৷ কিন্তু দেশের জন্য তাঁদের অবদানও কিছু কম নয় ৷ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্যও এই কথাটি সমান প্রযোজ্য ৷

এমনও কেউ কেউ ছিলেন যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বস্ব দিয়ে লড়েছিলেন ৷ কিন্তু কখনও প্রচারের আলোয় আসেননি ৷ বিষয়টা নিয়ে তাঁরা কখনও ভাবিতও ছিলেন না ৷ তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল স্বাধীন ভারত ৷ এরকমই একজন অপরিচিত স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম হল বিহারের পূর্ণিয়া জেলার ধ্রুব কুণ্ডু ৷ যিনি ব্রিটিশ ফৌজের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : কেরালার পাজহাসসি রাজা সংগঠিত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তির-ধনুক নিয়ে লড়াই করেছিলেন

ধ্রুব কুণ্ডু স্মারক নির্মাণ আন্দোলনের প্রধান গৌতম ভার্মার কথায়, "ধ্রুব কুণ্ডু এমন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন যিনি দেশের প্রতি আবেগ ও ভালবাসার উপর ভর করে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ৷ তিনি প্রমাণ করেছিলেন, দেশ মাতৃকাকে ভালবাসতে বয়স কোনও বাধা হতে পারে না ৷ তিনি নির্ভয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন ৷"

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন অপরিচিত নাম ধ্রুব কুণ্ডু ৷ 1942 সালে তিনি মহাত্মা গান্ধির ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন ৷ 1942 সালের 11 অগাস্ট বিপ্লবীরা রেজিস্ট্রি দফতরে আগুন লাগিয়ে দেন এবং সমস্ত নথিপত্র পুড়িয়ে দেন ৷ ওই বছরেরই 13 অগাস্ট বেশ কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামী কাটিহার নগরের সাব-রেজিস্ট্রারের দফতরে ভাঙচুর করেন ৷ মুনসিফ কোর্ট-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে তাঁরা ব্রিটিশদের পতাকা সরিয়ে ভারতের তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ৷

বয়স ছিল মাত্র 13, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন কাটিহারের ধ্রুব কুণ্ডু

আরও পড়ুন : Independence Special : যোদ্ধা, সুরের সাধক রাম সিং ঠাকুরিকে বেহালা উপহার দিয়েছিলেন নেতাজি

"মাত্র 13 বছরের একটি ছেলেও চেয়েছিল ওই বিপ্লবীদের ওই দলে যোগ দিতে ৷ কাটিহারের এসডিও মুখার্জীর বাধা সত্বেও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ওই আন্দোলনে যোগ দেন ধ্রুব ", জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ভোলানাথ অলোক ৷ তাঁর এই বীরত্ব মেনে নিতে পারেনি ব্রিটিশ ফৌজ ৷ তারা বীর ধ্রুবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৷ একটি বুলেট গিয়ে লাগে ধ্রুবর উরুতে ৷ গুরুতর আহত হন তিনি ৷ চিকিৎসার জন্য তাঁকে পূর্ণিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু 1942 সালের 15 অগাস্ট সকালে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ ধ্রুব কুণ্ডু হলেন দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা অন্যতম কমবয়সী স্বাধীনতা সংগ্রামী ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.