ETV Bharat / bharat

Supreme Court: 'পুলিশি তদন্তের মান হতাশাজনক', 2 ফাঁসির আসামিকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট

SC sets free two men on death penalty for murder: এক কিশোরকে অপহরণ ও হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ ওই মামলায় যাবজ্জীবন পাওয়া অপর এক ব্যক্তিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে ৷

Supreme Court
সুপ্রিম কোর্ট
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 22, 2023, 8:08 PM IST

নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর: 15 বছরের প্রতিবেশী কিশোরকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু'জনকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত অপর এক ব্যক্তিকেও মুক্তি দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ 2013 সালের জুলাই মাসে এই ঘটনা ঘটে ৷ এই মামলায় সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্সে অনেক খামতি রয়েছে বলে জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে যে, বেনিফিট অফ ডাউটের ভিত্তিতে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশি তদন্তেও হতাশা প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত ৷

বেঞ্চ বলেছে যে, পুলিশের জন্য একটি বাধ্যতামূলক এবং বিশদ পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য কোড তৈরি করা হয়েছে, যাতে দোষীরা খুঁটিনাটি কারণে মুক্তি পেয়ে না যান । বিচারপতি বিআর গাভাই, জেবি পারদিওয়ালা এবং সঞ্জয় কুমারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, "আমাদের রায়ের আগে বলব, আমরা পুলিশি তদন্তের হতাশাজনক মানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি ৷"

বিচারপতি কুমার, যিনি বেঞ্চের পক্ষে রায়টি দেন তিনি বলেন যে, এটি সত্যিই বিভ্রান্তিকর যে, সরকারি আইনজীবীর মামলায় অসংখ্য দুর্বল লিংক এবং ফাঁকি থাকা সত্ত্বেও, ট্রায়াল কোর্ট এবং হাইকোর্ট শুধু মুখ দেখেই এই মামলা গ্রহণ করতে আগ্রহী ছিল না । শুধু তাই নয়, তারা রাজেশ যাদব এবং রাজা যাদবকে মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছিল ৷

আরও পড়ুন: কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহী ইদগাহ প্রাঙ্গণ জরিপের আবেদন গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট

শীর্ষ আদালত সারকামস্ট্যানশিয়াল তদন্তের ভিত্তিতে মামলায় 'চমকপ্রদ ত্রুটি' ও 'সন্দেহজনক প্রক্রিয়া' খুঁজে পেয়েছে । একে বিরলের মধ্যে বিরলতম মামলার তকমা দিয়ে এই ধরনের কঠোর শাস্তি দেওয়ার মতো কোনও গ্রহণযোগ্য কারণ ছিল না বলে জানিয়েছে আদালত ৷

বেঞ্চ বলেছে, "আমরা দেখতে পেয়েছি যে, এই ক্ষেত্রে সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্সের শৃঙ্খলে ফাঁকফোঁকড়ের কারণে বেনিফিট অফ ডাউটে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করার কথা । পরিস্থিতিগত প্রমাণের জোরে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণও স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি ৷"

আদালত মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ওম প্রকাশ যাদব, তাঁর ভাই রাজা এবং ছেলে রাজেশ ওরফে রাকেশের করা আপিলে অনুমতি দিয়েছে ৷ ট্রায়াল কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা নিশ্চিত করেছিল মধ্যপ্রদেশের উচ্চ আদালত । আপিলকারীদের পক্ষে ছিলেন শীর্ষ আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা এবং আইনজীবী সুপ্রিয়া জুনেজা ৷

নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর: 15 বছরের প্রতিবেশী কিশোরকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু'জনকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত অপর এক ব্যক্তিকেও মুক্তি দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ 2013 সালের জুলাই মাসে এই ঘটনা ঘটে ৷ এই মামলায় সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্সে অনেক খামতি রয়েছে বলে জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে যে, বেনিফিট অফ ডাউটের ভিত্তিতে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশি তদন্তেও হতাশা প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত ৷

বেঞ্চ বলেছে যে, পুলিশের জন্য একটি বাধ্যতামূলক এবং বিশদ পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য কোড তৈরি করা হয়েছে, যাতে দোষীরা খুঁটিনাটি কারণে মুক্তি পেয়ে না যান । বিচারপতি বিআর গাভাই, জেবি পারদিওয়ালা এবং সঞ্জয় কুমারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, "আমাদের রায়ের আগে বলব, আমরা পুলিশি তদন্তের হতাশাজনক মানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি ৷"

বিচারপতি কুমার, যিনি বেঞ্চের পক্ষে রায়টি দেন তিনি বলেন যে, এটি সত্যিই বিভ্রান্তিকর যে, সরকারি আইনজীবীর মামলায় অসংখ্য দুর্বল লিংক এবং ফাঁকি থাকা সত্ত্বেও, ট্রায়াল কোর্ট এবং হাইকোর্ট শুধু মুখ দেখেই এই মামলা গ্রহণ করতে আগ্রহী ছিল না । শুধু তাই নয়, তারা রাজেশ যাদব এবং রাজা যাদবকে মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছিল ৷

আরও পড়ুন: কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহী ইদগাহ প্রাঙ্গণ জরিপের আবেদন গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট

শীর্ষ আদালত সারকামস্ট্যানশিয়াল তদন্তের ভিত্তিতে মামলায় 'চমকপ্রদ ত্রুটি' ও 'সন্দেহজনক প্রক্রিয়া' খুঁজে পেয়েছে । একে বিরলের মধ্যে বিরলতম মামলার তকমা দিয়ে এই ধরনের কঠোর শাস্তি দেওয়ার মতো কোনও গ্রহণযোগ্য কারণ ছিল না বলে জানিয়েছে আদালত ৷

বেঞ্চ বলেছে, "আমরা দেখতে পেয়েছি যে, এই ক্ষেত্রে সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্সের শৃঙ্খলে ফাঁকফোঁকড়ের কারণে বেনিফিট অফ ডাউটে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করার কথা । পরিস্থিতিগত প্রমাণের জোরে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণও স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি ৷"

আদালত মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ওম প্রকাশ যাদব, তাঁর ভাই রাজা এবং ছেলে রাজেশ ওরফে রাকেশের করা আপিলে অনুমতি দিয়েছে ৷ ট্রায়াল কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা নিশ্চিত করেছিল মধ্যপ্রদেশের উচ্চ আদালত । আপিলকারীদের পক্ষে ছিলেন শীর্ষ আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা এবং আইনজীবী সুপ্রিয়া জুনেজা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.