নয়াদিল্লি, 8 জুন : অবশেষে দেশে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নগামী ৷ তবে সজাগ সরকার ৷ তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে বাঁচতে দেশে বাড়ানো হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ ৷ কেন্দ্র সরকারও সচেষ্ট, যাতে ভ্যাকসিনের দ্রুত উৎপাদন করে স্বল্প সময়ের মধ্যে সবাইকে টিকা দেওয়া যায় ৷ সোমবার জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান দেশে নেজাল স্প্রে ভ্যাকসিনের (Nasal Vaccine) জন্য প্রয়োজনীয় রিসার্চ চলছে ৷ যদি এই পরীক্ষা সফল হয়, তাহলে ভারতে ভ্যাকসিনেশনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করা সম্ভব হবে ৷
কিন্তু কী এই নেজাল ভ্যাকসিন ?
বাহুতে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিবর্তে নেজাল ভ্যাকসিনে নাকের মধ্যে স্প্রে করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ৷ এর আসল উদ্দেশ্য হল সরাসরি শ্বাসনালীতে ভ্যাকসিন পৌঁছানো ৷
গতবছর কোভিড-19 এর একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, যেটি একটি ডোজ়ে দেওয়া হত ৷ ইঁদুরের উপর পরীক্ষায় এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগে ভাল ফল পাওয়া যায় ৷ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে উল্লেখ করা হয়, এই নেজাল ভ্যাকসিন সরাসরি শরীরের সংক্রিমিত এলাকায় কাজ করে ৷ ফলে এর থেকে ভাল ফলের আশা করা যায় ৷
নেজাল স্প্রে ভ্যাকসিনের উপকারিতা কী ?
ভারতের প্রথম সারির এক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নেজাল ভ্যাকসিন আসলে নন-ইনভাসিভ ভ্যাকসিন হওয়ায় অন্যদের থেকে এটি বেশ আলাদা ৷ অর্থাৎ এই ভ্যাকসিন নিতে কোনও ছুঁচের প্রয়োজন হয় না ৷ এমনকী কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর তত্বাবধানেরও প্রয়োজন হয় না ৷
ভারত বায়োটেকের(Bharat Biotech) নেজাল ভ্যাকসিন
বর্তমানে ভারতের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের নেজাল ভ্যাকসিন প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে ৷ প্রস্তুতকারীদের কথা অনুযায়ী, ইন্ট্রান্যাসাল ভ্যাকসিন BBV154 সংক্রিমিত এলাকায় সরাসরি কাজ করবে ৷ এতে রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি সংক্রমণের হারও কমাবে ৷
রিপোর্ট অনুযায়ী কোভ্যাকসিনের নির্মাতা ভারত বায়োটেক, চলতি বছরের শেষ দিকে নেজাল ভ্যাকসিনের 10 কোটি ডোজ় বাজারে আনতে পারে ৷
কয়েকদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘‘ নেজাল ভ্যাকসিন উৎপাদনের ট্রায়াল ভারতে শুরু হয়েছে ৷ এটি শিশুদের জন্য গেম চেঞ্জার হতে পারে ৷ ভারত বায়োটেকের BBV154 ইতিমধ্যে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ফেজে আছে ৷’’