মান্ডি (হিমাচল) 13 নভেম্বর: সমাজবিদরা বলেন, গণতন্ত্র এমন একটি বিষয় যা প্রতি মুহূর্তে অনুশীলন করতে হয়। মেনে চলতে হয়। জীবনের প্রতিটা ধাপেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতির উপর আস্থা রাখতে হয়। পরিস্থিতি বিপরীতে থাকলেও । যুগে যুগে দেশে দেশে মনুষ্য সমাজ এভাবেই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে । বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র (Largest Democracy in The World)হিসেবে সেই ভূমিকা পালনে বরাবর এগিয়ে এসেছে ভারত। আর হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে শনিবার যে ছবি ধরা পড়ল তাতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও বেশি করে শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠতেই হয়।
বাবা প্রয়াত হয়েছেন শনিবার, ভোটের দিন। কিছুমাত্র না ভেবেই বলে দেওয়া যায়, পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত হয়ে পড়বেন শেষকৃত্যের আয়োজনে। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের বিষয়টি কারও মাথাতেও আসবে না । তোলা থাকবে পরের বারের জন্য । কিন্তু যে কোনও পরিস্থিতিতেই একটু অন্যভাবে ভাবলে কখনও কখনও নজির সৃষ্টি করা যায় । ঠিক সেটাই করলেন মান্ডি জেলার লোহাংরকার জেলার বাসিন্দা মণিরাম ও তাঁর দুই ভাই (Along With Two Brothers Maniram Created Rare Example )।
আরও পড়ুন: হিমাচলে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোটকেন্দ্র, ভোট পড়ল 100 শতাংশ
পরিবারের কর্তা ভোটের দিন সকালে প্রয়াত হন। কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে তিন ভাই প্রথমে বাবার শেষকৃত্য করেন। তারপর সোজা চলে যান ভোট দিতে । তিন ভাইয়ের কারও পায়ে জুতো পর্যন্ত ছিল না । গোটা বিষয়টি নিয়েই তুমুল চর্চা চলছে গ্রামে । এভাবেও যে ভাবা যায় তা মাথায় আসছে না গ্রামের অনেকেরই । স্থানীয়রা প্রায় সকলেই বলছেন বাবা হারানোর শোক বুকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়া খুব সহজ কোনও বিষয় নয় । এই ঘটনা আসলে গণতন্ত্রের প্রতি ভারতের দায়বদ্ধতা ঠিক কতটা সেটা প্রমাণ করে ।