গ্য়াংটক, 5 এপ্রিল: সিকিমের ভয়াবহ তুষারধসে প্রাণ গিয়েছে সাত জন পর্যটকের। জানা গিয়েছে, উত্তর সিকিমের নাথুলা পাস এবং সমোগো লেক এলাকায় মঙ্গলবার আচমকা তুষারধসে এই সাত পর্যটকের মৃত্য়ু হয়েছে ৷ যার মধ্য়ে দুই জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ৷ পাশাপাশি ঘটনায় 13 জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে রাজ্য় প্রশাসন সূত্রে খবর ৷ ইতিমধ্য়ে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷
সোমোগো যাওয়ার পথে ১৭ মাইল এলাকার কাছে মঙ্গলবার থেকে আচমকা তুষারপাত শুরু হয়েছে ৷ চলতি মরশুমে একাধিকবার তুষারপাত হয়েছে সিকিমে ৷ এদিন কার্যত তা ধসের আকার নিয়েছে। এরপর মঙ্গলবার বড়সড় তুষারধসের জেরে এদিন রাজ্য়ের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একাধিক পর্যটক তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন ৷ পাশাপাশি লাচেন-লাচুং পর্যন্ত যাবতীয় রাস্তা সরকারের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এখনও প্রায় শতাধিক পর্যটক তুষারপাতের জেরে বেশকিছু এলাকায় আটকে আছেন।
অন্য়দিকে, এদিন প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তুষারধসে মৃতদের মধ্যে তিনজন নেপালের, দু'জন পশ্চিমবঙ্গের এবং দু'জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও 13 জন। তাঁদের সিকিমের এসডিএম হাসপাতালে ভরতি করা রয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নেপালের শিবপ্রসাদ লামিছানে এবং অশিকা ঢাকাল (22), মুনা শাহ শ্রেস্ত্রা (29), উত্তরপ্রদেশের বালা সিং (32), রেবা সিং (6), পশ্চিমবঙ্গের সৌরভ রায় চৌধুরী (28), প্রীতম মাইতি (38) এই সাত জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: সিকিমে তুষারধস ! মৃত 7 পর্যটকের মধ্যে 2 জন বাঙালি, এখনও অনেকে নিখোঁজ
বুধবার সকাল থেকে সিকিমের 15 মাইল এলাকা থেকে 13 মাইল পর্যন্ত উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে ৷ সিকিম পুলিশের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামাছে সেনা বাহিনী এবং বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন ৷ অন্য়দিকে, তুষারধসের পর বরফ সরিয়ে রাস্তার একদিক দিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং নেপালের বাসিন্দারা রয়েছেন। এখনও বেশ কয়েকজন পর্যটক এখনও তুষারধসে আটকে আছেন বলে খবর ৷ সূত্রের খবর, তাদের উদ্ধারে দ্রুত গতিতে কাজ করছে সেনা বাহিনী৷