গুয়াহাটি, 18 ফেব্রুয়ারি: এনকাউন্টারে নিহত খুনের অভিযুক্ত (Murder Accused Killed in Encounter) ৷ অসমের গুয়াহাটিতে ঘটনাটি ঘটেছে ৷ নিহতের নাম শাহ আলম তালুকদার ৷ তিনি দুগ্ধ ব্যবসায়ী রণজিৎ বোরা খুনে মূল অভিযুক্ত ছিলেন ৷ পুলিশ (Assam Police) জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের দিকে ওই এনকাউন্টার হয় ৷ তবে এই নিয়ে এর বেশি তথ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়নি ৷
পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, শাহ আলম পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ৷ সেই সময় তাঁকে গুলি করা হয় ৷ তাঁর শরীরে দু’টি গুলি লাগে ৷ শনিবার ভোরে তাঁকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয় শাহ আলমের ৷ আপাতত ওই হাসপাতালের মর্গে রয়েছে শাহ আলমের মৃতদেহ ৷ সেখানেই দেহের ময়নাতদন্ত হবে ৷
পুলিশের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো না হলেও অসম পুলিশেল ডিজি এস এন সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেছেন ৷ যেখানে তিনি মেরিয়াম ওয়েবস্টার অবিধান থেকে একটি লাইন তুলে দিয়েছেন লিখছেন, ‘‘দ্য লং আর্ম অফ দ্য ল - দ্য এবিলিটি অফ দ্য পুলিশ টু ফাইন্ড পিপল হু কমিট ক্রাইমস ৷’ বাংলায় তর্জমা করলে, তা হচ্ছে - যারা অপরাধ করে, তাদের খুঁজে পাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে পুলিশের ৷ আইনের হাত অনেক লম্বা ৷ প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে ওই টুইট করেছে অসম পুলিশের মহানির্দেশক ৷
2022 সালের 21 নভেম্বর গুয়াহাটি শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন পূরবী ডেয়ারি নামে এক সংস্থার ডিস্ট্রিবিউটার রণজিৎ বোরাকে গুলি করে খুন করা হয় (Guwahati Diary Distributor Murder Case) ৷ তিনি সেই সময় একটি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন । তাঁর কাছে থেকে 3 লক্ষ টাকা লুট করে পালায় দুষ্কৃতীরা ৷ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহ আলম তালুকদার ৷ তাঁকে মাসখানেক আগে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ পুলিশি হেফাজতে তাঁকে রাখা হয়েছিল গুয়াহাটির দিসপুর থানায় ৷ সেই থানার বাথরুমে গত 10 ফেব্রুয়ারি শাহ আলম আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ৷
পুলিশে তদন্তে উঠে এসেছে যে গুয়াহাটিতে বেসরকারি স্কুল চালাতো শাহ আলম ৷ সেই কারণে তাঁর এলাকায় প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল ৷ তাঁকে মানুষ সজ্জন ব্যক্তি বলেই জানতেন ৷ অথচ তিনিই ছিনতাই, খুনের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ৷
আরও পড়ুন: 1991 পিলভিট এনকাউন্টারে দোষী সাব্যস্ত 43 জন পুলিশ আধিকারিক