গুরুগ্রাম, 3 অগস্ট: গুরুগ্রামের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা ৷ বুধবার বাইডেন প্রশাসন ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে হিংসা থামাতে আর্জি জানিয়েছে ৷ সোমবার থেকে উত্তপ্ত হরিয়ানা ৷ 31 জুলাই প্রথমে নুহতে একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ এরপরেই তা ছড়িয়ে পড়ে গুরুগ্রামে ৷ হিংসায় এখনও পর্যন্ত 2 জন হোমগার্ড-সহ 6 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷
আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, "আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলিকেই শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুরোধ করছি, তারা হিংসাত্মক কাজকর্ম বন্ধ করুক ৷ শান্তি ফিরে আসুক ৷" প্রসঙ্গত, গুরুগ্রামে একাধিক মার্কিন সংস্থার দফতর রয়েছে। এদিকে, হরিয়ানায় হিংসার মোকাবিলায় বুধবার আরও 4 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য প্রশাসন ৷ সোমবার নুহতে একটি সংগঠনের মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ সেই থেকে শুরু ৷ এরপর রাজ্যে 144 ধারা জারি করা হয় ৷ মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগও সাময়িক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ৷
-
#WATCH | Security strengthened in Haryana's Nuh as curfew is imposed here following clashes between two groups pic.twitter.com/3TrGSjfFlD
— ANI (@ANI) August 3, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">#WATCH | Security strengthened in Haryana's Nuh as curfew is imposed here following clashes between two groups pic.twitter.com/3TrGSjfFlD
— ANI (@ANI) August 3, 2023#WATCH | Security strengthened in Haryana's Nuh as curfew is imposed here following clashes between two groups pic.twitter.com/3TrGSjfFlD
— ANI (@ANI) August 3, 2023
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর জানিয়েছেন, তিনি কোনওভাবেই রাজ্যের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে দেবেন না ৷ নুহতের ঘটনায় প্রত্যেক অপরাধীকে আইনি পথে শাস্তি দেওয়া হবে ৷ মঙ্গলবারও গুরুগ্রামে একের পর এক দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ এরপর বুধবারও একই রকম ভাবে দু'টি অস্থায়ী শিবিরে আগুন ধরানো হয় । পাশাপাশি, একটি চায়ের দোকানে ভাঙচুর চলে ৷ উত্তেজিত জনতা বস্তিগুলিতেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: মৃত বেড়ে 6, অপরাধীরা রেহাই পাবে না; জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এই পরিস্থিতিতে গুরুগ্রামে হিংসা থামানোর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এক ব্যক্তি ৷ বুধবার 370 ধারা বিলোপের মামলা শুনছিল দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৷ শুনানিটি মাঝপথে থামিয়ে প্রধান বিচারপতি গুরুগ্রামের হিংসার ঘটনা নিয়ে শোনেন ৷ তিনি এবং বিচারপতি এসভি ভাট্টি নির্দেশ দেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হোক ৷ এর সঙ্গে রাস্তাঘাটে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি বাড়ানো হোক ৷ তবে তাঁরা কোনও মিছিল বন্ধের নির্দেশ দেয়নি আদালত ৷