পোরবন্দর, 10 জুন: সুরাতের লালগেটে একটি অভিযানে আইএস জঙ্গি সন্দেহে এক মহিলাকে আটক করল গুজরাত এটিএস ৷ সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে এনআইএ'র হাতে গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস-এর তিন বিদেশি সদস্যকে জেরা করে ওই মহিলার নাম জানতে পারে এনআইএ ৷ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বিষয়টি গুজরাত এটিএস-কে জানানো হয় ৷ এটিএস গুজরাতে লালগেট থেকে বৃহস্পতিবার সকালে সুমেরা নামে ওই মহিলাকে আটক করে এটিএস ৷
সূত্রের খবর, এনআইএ-এর থেকে তথ্য পেয়ে এটিএস আইজি'র নেতৃত্বে একটি দল বুধবার সুরাত সংলগ্ন পোরবন্দরে পৌঁছে যায় ৷ সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে সুরাতের লালগেট এলাকায় অভিযান চালায় ৷ সেখান থেকে সুমেরা নামে ওই মহিলাকে আটক করা হয় ৷ পরে তাঁকে পোরবন্দরে নিয়ে আসা হয় ৷ এটিএস সূত্রে খবর, টানা 6 ঘণ্টা সুমেরাকে জেরা করা হয়েছে ৷ লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর, তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ মূলত এটিএস ও সুরাত ক্রাইম ব্রাঞ্চের যৌথ অভিযানে সুমেরাকে পাকড়াও করা হয় ৷
জানা গিয়েছে সুমেরা বিবাহিত এবং তাঁর 2 সন্তান রয়েছে ৷ তাঁর স্বামী দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা বলে এটিএস সূত্রে খবর ৷ আড়াই বছর আগে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদও হয়ে গিয়েছে ৷ পরবর্তী সময়ে তিনি সুরাতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন ৷ এটিএস জানতে পেরেছে, সুমেরা খুব দ্রুত ইরান যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং সেখান থেকে আফগানিস্তান ৷ মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারতে বা অন্যান্য দেশে যাওয়া সম্ভাবনা ছিল তাঁর ৷ জানা গিয়েছে, সুমেরার প্রাক্তন স্বামীর পরিবারের এক সদস্য সরকারি কর্মী ৷
আরও পড়ুন: আইএস জঙ্গি সন্দেহে ধৃত কুরেশি গোপন বৈঠক করেছিল ভিন রাজ্যে, দাবি এসটিএফের
এটিএস সুমেরার হদিশ পায় সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান প্রদেশের 3 সদস্যকে জেরা করে ৷ মধ্যপ্রদেশ থেকে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে এনআইএ ৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই সুমেরার নাম সামনে আসে ৷ এরপর এটিএস-এর আইজি'র নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকালে সুরাতের লালগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমেরাকে আটক করা হয় ৷ তাঁর কাছ থেকে 4টি মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে ৷ তবে, সুমেরা কীভাবে আইএস-এর সংস্পর্শে এলেন ? সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গুজরাত এটিএস'কে ৷
আরও পড়ুন: আইএস জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র
গ্রেফতার হওয়া তিন আইএস জঙ্গির পরিচয় জানা গিয়েছে ৷ তারা হল সৈয়দ মামুর আলি, মহম্মদ আদিল খান এবং মহম্মদ শাহিদ ৷ তবে, বেশ কয়েকদিন ধরেই সমুদ্র উপকূলীয় পোরবন্দরে নজরদারি চালাচ্ছিল এটিএস ৷ যাতে সুমেরা পোরবন্দর হয়ে জলপথে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারেন ৷ এমনকি একাধিক জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয় ৷ তারপর অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সুমেরাকে প্রথম আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় ৷