ফরিদাবাদ (হরিয়ানা), 9 এপ্রিল: বলা হয় বিয়ে সাত জন্মের বন্ধন ৷ অগ্নিসাক্ষী করে সাত জন্ম একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় ৷ কিন্তু, বাস্তবে তা কতটা সত্যি ? বিয়ের 48 ঘণ্টার মধ্যে স্ত্রীকে ফেলে রেখে চলে গেলেন এক যুবক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে গোয়া বিমানবন্দরে ৷ বিয়েতে বিএমডব্লিউ গাড়ি না-দেওয়ায় নববধূকে বিমানবন্দরে রেখে চলে গেলেন হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা আবির কার্তিকেয় ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ফরিদাবাদ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, 25 ও 26 জানুয়ারি গোয়ায় ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেন ৷ কিন্তু, পণ হিসেবে পাত্রীপক্ষের কাছে বিএমডব্লিউ গাড়ি চেয়েছিল বরপক্ষ ৷ সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় 27 জানুয়ারি নববধূকে গোয়া বিমানবন্দরে ফেলে রেখে চলে যায় বর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ অভিযোগ সেখানে তাঁর সঙ্গে থাকা গয়না ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ ফরিদাবাদ সেক্টর-9 এর বাসিন্দা চিকিৎসক দম্পতি এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ৷
তিনি ফরিদাবাদ সেক্টর-8 থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন ৷ পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, পণের দাবি, মারধর এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নির্যাতিতা ৷ পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ৷ ফরিদাবাদ পুলিশ পণের দাবিতে কনেকে বিমানবন্দরে নামিয়ে দেওয়া এবং তাঁর কাছ থেকে গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে গ্রেফতারির নোটিশ পাঠিয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও অভিযুক্তরা পুলিশের সেই নোটিশকে গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
জানা গিয়েছে. মূল অভিযুক্ত আবির কার্তিকেয় নেপাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিক্যালের পড়াশোনা করছেন ৷ তাঁর মা আভা গুপ্তা এবং বাবা অরবিন্দ গুপ্তা পেশায় চিকিৎসক ৷ তাঁদের হিসারে নিজস্ব হাসপাতাল রয়েছে ৷ তাঁরা একটি মেট্রিমনিয়াল সাইট থেকে ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখেছিলেন ৷ অভিযোগ বিয়ের কথা হওয়ার সময় কোনও পণের দাবি করা হয়নি ৷ কিন্তু, বিয়ের কয়েকদিন আগে যৌতুক হিসেবে 25 লক্ষ টাকা দাবি করে আবিরের পরিবার ৷ সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় গার্হস্থ্য হিংসা, পণ চেয়ে ও সন্তান না-হওয়ার কারণে দুই বধূকে নির্যাতনের অভিযোগ
এমনকী পাত্রপক্ষের দাবি মতো গোয়াতে বিয়ে হয় ৷ আর তার পুরো খরচ পাত্রীপক্ষের উপর চাপানো হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আর বিয়ের পর বিএমডব্লিউ-র দাবি জানায় তাঁরা ৷ বলা হয় গাড়ি দিলেই মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবে আবিরের পরিবার ৷ অভিযোগ, বিয়ের অনুষ্ঠানের সব খরচও পাত্রীপক্ষকে দিতে হয়েছে ৷ কারণ, ছেলের বাবা-মা হোটেল বুকিং-সহ অন্যান্য খরচ না-দিয়ে সেখান থেকে আগেই পালিয়ে গিয়েছিল ৷ পুরো ঘটনায় চিকিৎস দম্পতি এবং তাঁদের ছেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে ৷