ফরিদাবাদ, 29 নভেম্বর: এক নাবালিকার অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরি করে তাকে লাগাতার ধর্ষণ, তাকে পরে বিয়ে করে জোর করে ধর্মান্তরকরণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠল হরিয়ানার ফরিদাবাদে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
এক ব্যক্তি প্রথমে তাঁর নাম পরিবর্তন করে নাবালিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এবং নেশা করানোর পর তাকে নিয়ে অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরি করে বলে অভিযোগ । এরপর প্রায় এক বছর ধরে সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে চলে ব্ল্যাকমেইলিং ৷ নাবালিকাকে বন্দি করে অভিযুক্ত লাগাতার তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । এরপর নির্যাতিতা প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে সে ।
তবে বিয়ের পরও মেয়েটির দুর্দিন কাটেনি ৷ অভিযোগ, বিয়ের পর তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তের ভাই ও আত্মীয়রাও । অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা নির্যাতিতার উপর নৃশংস অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ ৷
দিনের পর দিন নির্যাতনের পর অভিযুক্তরা ওই যুবতীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷ মানালিতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে পাহাড় থেকে খাদে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ৷ বিষয়টি আঁচ করতে পরে নির্যাতিতা সেখানে তাঁর পরিবারকে ডেকে পাঠান ৷ আর তখন পুলিশের ভয়ে কিছু করতে পারেননি অভিযুক্তরা ৷
নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন যে, অভিযুক্ত আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলি মামলা রয়েছে । পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুরনো মামলাগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
ফরিদাবাদ সেক্টর 16 মহিলা থানার এসএইচও ইন্দুবালা বলেন, "এই ঘটনায় 14 জনের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্মান্তরকরণ থেকে গণধর্ষণ ও অপহরণের গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে । বিষয়টি খুবই গুরুতর । এর তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ আমরা এই বিষয়ে প্রতিটি ঘটনা খুঁটিয়ে দেখছি ৷ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । যত দ্রুত সম্ভব মামলার নিষ্পত্তির চেষ্টা হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: