মালদা, 11 ডিসেম্বর : বল ভেবে বোমায় লাথি মেরে গুরুতর আহত হল সাত বছরের এক বালিকা (seven years old girl injures by a bomb as she trying to kick it like a ball)। শনিবার ঘটনাটি ঘটে মানিকচক থানার বড়বাগান নাকিরটোলা গ্রামে । আহত ওই বালিকাকে তড়িঘড়ি মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে রেফার করে দেন সেখানকার চিকিৎসকরা । ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ ।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার বেলা তিনটে নাগাদ । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী এক বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ির কাছেই একটি আমবাগানে খেলতে গিয়েছিল হাসিবা খাতুন । স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে । বাবা সাদ্দাম শেখ পেশায় শ্রমিক । খেলার সময় আমবাগানে ধুলোর মধ্যে একটি কৌটো পড়ে থাকতে দেখে হাসিবা । বল ভেবে তাতে লাথি মারতেই ঘটে যায় বিপত্তি । বিকট শব্দে ফেটে যায় ওই কৌটো । রক্তাক্ত অবস্থায় হাসিবাকে দ্রুত মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান তার আত্মীয়রা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় মানিকচক থানার পুলিশও ।
হাসপাতালে হাসিবা শুধু জানায়, “ওই কৌটোতে লাথি মারতেই পটকা ফেটে যায় ।” তার পিসি রিনা খাতুন বলেন, “তখন আমরা বাড়িতেই ছিলাম । গ্রামের একজন জানায়, বাগানে বোমা ফাটার মতো আওয়াজ হল । তখনই একটি মেয়ে ভাইঝিকে হাত ধরে নিয়ে আসে । সে জানায়, বোমা ফেটে ভাইজি আহত হয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে মোটরবাইকে চাপিয়ে ওকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি । ওখানে কী ছিল জানি না । তবে বাগানে ধোঁয়া ছিল । ভাইঝির দুই পা, হাত আর বুকে আঘাত লেগেছে ।"
আরও পড়ুন : বান্ধবীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রক্তাক্ত ছাত্র
মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হেমনারায়ণ ঝা জানিয়েছেন, “ওই কিশোরীর দুই পা, হাত ও বুকে বিস্ফোরণের আঘাত রয়েছে । প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমরা তাকে মালদা মেডিক্যালে রেফার করেছি ।” এদিকে মানিকচক থানার আইসি অক্ষয় পাল বলেন, “কীভাবে ওই বাগানে বোমা এল, কে বা কারা সেই বোমা নিয়ে এসেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।”