দেহাত (কানপুর), 19 জুলাই: স্কুল-ছাত্রীকে ধর্ষণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়োই ভাইরাল করে দেওয়ার অভিযোগ। কানপুরের রুরা থানা এলাকার দেহাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রীর স্কুলের ভ্যান চালক এবং এক মহিলা। অভিযুক্ত মহিলার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ। অভিযুক্ত বাস চালক ও মহিলাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ঘটনার 15 দিন পর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এলে বিষয়টি জানাজানি হয় । নির্যাতিতার পরিবার তারপরেই স্কুলভ্যান চালক ও মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্ত মহিলা তাদেরই প্রতিবেশী বলে জানান নির্যাতিতার বাবা ।
পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের 14 বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে স্কুলের ভ্যান চালক। যে স্কুল-ভ্যান করে ছাত্রী বাড়ি ফেরে, অভিযুক্ত সেই ভ্যানেরই চালক। নির্যাতিতার বাবা জানাচ্ছেন, 15 দিন আগে প্রতিবেশী মহিলা স্কুল ছাত্রীকে নিজের বাড়িতে ডাকেন। তারপরেই স্কুলভ্যান চালক নওশাদ ওই মহিলার বাড়িতে যায় । অশ্লীল আচরণের পর নওশাদ নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেন ওই মহিলা। এমনকী নওশাদ ও প্রতিবেশী মহিলা ছাত্রীকে প্রাণহানির হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
15 দিন পর্যন্ত চুপ ছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নির্যাতিতাতর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পরে যায়। প্রতিবেশী মহিলার ডাকেই তার বাড়িতে আসে স্কুলভ্যান চালক নওশাদ, অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার। অভিযোগ পাওয়ার পরই তৎপর হয়েছে রুরা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে নওশাদ ও ওই মহিলাকে। নওশাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ ।
ঘটনায় হতবাক নির্যাতিতার পরিবার থেকে এলাকার মানুষ । প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের সুসম্পর্কের কথাও সামনে আসছে । মাঝে মাঝেই মহিলার বাড়িতে যেত নির্যাতিতা। অভিযোগ, পারিবারিক বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই নওশাদের কুকর্মকে শুধু সমর্থন নয়, রীতিমতো ভিডিয়ো করে ওই মহিলা ।