আনেকাল (বেঙ্গালুরু), 7 অক্টোবর: শনিবার আনেকাল তালুকের আটিবেলে বেঙ্গালুরু-হোসুর রাজ্য সড়কের পাশে একটি আতশবাজি গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থলেই 11 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান পুলিশের ৷
পুলিশ জানিয়েছে, আটিবেল সীমান্তে বালাজি ক্র্যাকার্স নামে একটি আতশবাজি গোডাউনে দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই প্রবল ছিল যে, গোটা গোডাউন ভষ্মীভূত হয়ে যায়। ঘটনায় নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ ৷ দোকানে মোট 20 জন শ্রমিক ছিল। জানা গিয়েছে, এটি নবীনের বালাজি ক্র্যাকার্স নামে একটি আতশবাজির দোকান।
কর্মকর্তাদের মতে, গোডাউনে থাকা 20 জনের মধ্যে চারজন ঘটনার পরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। আতশবাজি গোডাউনের ভিতরে 16 জন লোক আটকে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে 11 জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৷ তবে গোডাউনের আগুন রাত পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
দীপাবলির জন্য লরি থেকে এক ধরনের বিশেষ আতশবাজি লোড-আনলোড করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। সেখান থেকে বাজি গোডাউনে লেগে যায় বলে মনে করা হচ্ছে ৷ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের কয়েকটি গাড়িতেও আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে আটিবেলে পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। স্থানীয়রাও আগুন নেভাতে সাহায্য করে ৷ তবে দোকানটি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: হামাসের বেনজির হামলায় যুদ্ধ চলছে ইজরায়েলে, শত্রুদের হুঁশিয়ারি নেতানইয়াহুর
বেঙ্গালুরু (রুরাল) পুলিশ সুপার মল্লিকার্জুন বালাদন্ডী বলেন, "বালাজি ক্র্যাকার্স গোডাউনে একটি ক্যান্টার গাড়ি থেকে বাজি আনলোড করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সঙ্গে সঙ্গেই দোকান এবং গুদামটি আগুনে পুড়ে যায়। বিষয়টি জানার পরই পুলিশ এবং দমকলবাহিনী কাজ শুরু করে।" এই ঘটনায় দোকানের মালিক নবীনও দগ্ধ হয়েছেন। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলে দোকানের ভিতরে কত শ্রমিক আটকে আছে তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ফরেনসিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার। পাশাপাশি দোকানের লাইসেন্স রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷