চেন্নাই, 14 অগস্ট: ক্রমাগত উৎশৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলে ৷ গয়না চুরি করে তা বিক্রির টাকায় নিয়মিত মাদক সেবন করত ছেলে ৷ সবক শেখাতে ছেলে টেগোর নায়েককে (22) দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন বাবা (Father Gave 2 Lakh Supari to Killed His Son)৷ সেইমতো শ্যালকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে 2 লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার দিয়ে ছেলেকে খুনের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের আন্নামায়া জেলার টামবাল্লাপাল্লে এলাকার কুঠিকিবান্দা এলাকার ঘটনা ৷ চলতি বছরে 28 জুন টেগর নায়েকের খুনের ঘটনা ঘটে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত টেগর নায়েক (22) চেন্নাইের একটি ইঞ্জিনিারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল ৷ মৃতের বাবার রেডাপ্পার দাবি, ওই ছাত্র পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও খরাপ আচরণ করা শুরু করেছিল ৷ এ নিজের ভাইকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয় সে ৷ সম্প্রতি বাড়ি থেকে সোনার গয়না চুরি করে সেটি বিক্রি করে সেই টাকায় বহুমূল্য জিনিস কেনার পাশাপাশি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল টেগর নায়েক ৷ ছেলের এই অধঃপতনে রাশ টানতে না পেরেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলেকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন বাবা ৷
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে খুন করল জঙ্গিরা
রেডাপ্পা পুলিশকে জানান, ছেলেকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা তাঁর শ্যালক বি শেখর নায়েককে তিনি জানান ৷ যিনি বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীর পদে কর্মরত ৷ তাঁর শ্যালকের সাহায্যে কুখ্যাত অপরাধী বি প্রতাপ নায়েকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি ৷ 2 লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছেলে খুন করার চুক্তি হয় ৷ 'সুপারি' বাবদ 50 হাজার টাকা অগ্রিম দেন তিনি ওই দুষ্কৃতিকে ৷ এরপরেই 28 জুন শেখর নায়েক, বি প্রতাপ নায়েক (সুপারি কিলার) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া টেগর নায়েককে শহর থেকে দূরে মাডানাপাল্লে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে তিনজনেই মদ্য়পান করেন ৷ টেগর নায়েককে অতিরিক্ত মদ্যপান করানোর পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ৷ দেহটি ফেলে রেখেই দুই অভিযুক্ত সেখান থেকে চলে আসে ৷
2 জুলাই স্থানীয় পশুপালকরা জঙ্গল থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন ৷ পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে রহস্যজনক খুনের মামলা দায়ের করেন ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বাবা রেডাপ্পা, মামা বি শেখর নায়েক ও দুষ্কৃতি বি প্রতাপ নায়েককে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷