পানিপথ (হরিয়ানা), 9 জুলাই: নৃশংস-নির্মম ঘটনার সাক্ষী থাকল হরিয়ানার পানিপথের উঝা গ্রাম ৷ মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত 12 বছরের মেয়েকে বেধড়ক মার বাবার ৷ ঘটনার কারণ জানতে পেরে চমকে গিয়েছে পুলিশও ৷
জানা গিয়েছে, নিহত 12 বছরের মেয়েটির মা গিয়েছিলেন বাপের বাড়ি ৷ তাতে চিন্তিত ছিলেন স্বামী ৷ তিনি প্রতিদিন সন্তানকে জিজ্ঞাসা করতেন, মা কবে আসবে ? শনিবার রাতেও ঘুম থেকে 12 বছরের মেয়েকে তুলে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি জানতে চায় তার মা কবে ফিরবে ? ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা হয় কি না ৷ কিন্তু মেয়ে হরপ্রীত জানায়, সে জানে না মা কবে আসবে ৷ এর পরেই অভিযুক্ত বাবা নির্মমভাবে মারতে থাকে কিশোরীকে ৷ ততক্ষণ পর্যন্ত মার চলতে থাকে যতক্ষণ না মেয়েটি মারা যায়, এমনটাই অভিযোগ ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উঝা গ্রামের বাসিন্দা রিংকুর স্ত্রী রিম্পি ৷ স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া কারণে বাপের বাড়ি পাঞ্জাবের রাজপুরায় চলে যায় সে। কয়েক মাস ধরে ওই মহিলা তাঁর বাপের বাড়িতেই রয়েছেন। এই কারণে হতাশায় ভুগছিল তাঁর স্বামী রিঙ্কু ৷ প্রায়ই বাচ্চাদের জিজ্ঞেস সে জিজ্ঞাসা করত মা কবে আসবে ? শনিবার রাত 12টা নাগাদ রিংকু মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে আসে ৷ এসে সে তার 12 বছরের ঘুমন্ত মেয়ে হরপ্রীতকে জাগিয়ে তোলে।
এরপর মেয়েকে রিংকু জিজ্ঞেস করতে থাকে, "তুমি কি তোমার মায়ের সাথে ফোনে কথা বল ? বল তোর মা কখন আসবে ?" মেয়ে হরপ্রীত জবাবে বলে, সে জানে না। এ কথা শুনে রিংকু রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে হরপ্রীতকে নির্দয়ভাবে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ । রিংকুর মা কিশোরী বাই তাঁর নাতনীকে রিঙ্কুর হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও তিনি পারেননি ৷ রিংকু তার মেয়েকে ততক্ষণ মারতে থাকে যতক্ষণ না সে মারা যায় ৷
এরপরেই কিশোরী বাই রিঙ্কুর বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছে তাঁকে পুরো বিষয়টি জানান। রিঙ্কুর বন্ধু দৌঁড়ে বাড়িতে গিয়ে দেখেন মেয়ে হরপ্রীত মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং রিঙ্কু তার পাশে বসে আছে । সঙ্গে সঙ্গে রিঙ্কুর বন্ধু বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ৷ অভিযুক্ত রিঙ্কুকেও গ্রেফতার করে ৷
আরও পড়ুন: শ্রমিকের গায়ে আগুন লাগিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হত্যা, গ্রেফতার দোকান মালিক
চাঁদনিবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার জানান, রিঙ্কুর বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিঙ্কু তার স্ত্রীর বাড়িতে না থাকায় মানসিক অবসাদে থাকতেন এবং প্রায়ই তার সন্তানদের মারধর করতেন। রাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটিকে এত মারধর করা হয়েছে যে সে মারা যায়।