নয়াদিল্লি, 27 জানুয়ারি : বিক্ষোভকারীদের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেন কৃষক নেতারা। তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন চালাতে হবে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। সাধারণতন্ত্র দিবসে হিংসার ঘটনার পর বুধবার দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের নেতারা। আন্দোলনে হিংসা ছড়ানোর পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল বলে তাঁদের মত।
মঙ্গলবারের হিংসায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে কৃষক নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্যই চক্রান্ত করে হিংসার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, ওটা দুর্ঘটনা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হিংসার জেরে 300-রও বেশি পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। এই নিয়ে 22টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে চক্রান্তের অভিযোগেও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠনের নেতাদের নাম রয়েছে।
লালকেল্লায় হিংসা ছড়ানোয় পঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন কৃষক নেতারা৷ এক কৃষক নেতার দাবি, ''দীপ সিধু সরকারের লোক। তাঁর ষড়যন্ত্র আমাদের বুঝতে হবে। কীভাবে এই লোকগুলো লাল কেল্লায় পৌঁছল? লাল কেল্লায় যারা হিংসা চালিয়েছে, তারা সর্দার নয়, গদ্দার।''
আরও পড়ুন : দিল্লি-লালকেল্লা দখল কৃষকদের, দিনভর তপ্ত রাজধানী দেখল মৃত্যুও
সাধারণতন্ত্র দিবসে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজপথ৷ আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলোর ট্রাক্টর মিছিলকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লি৷ কৃষকদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে৷ দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ করা হয় ব্যারিকেডও৷ তবে, বিক্ষুব্ধ কৃষকরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে৷ দুপুরের দিকে আন্দোলনরত কৃষকদের একটি দল প্রবেশ করে লালকেল্লায়৷ সেখানে দেশের পতাকার পাশাপাশি তাঁদের পতাকাও ওড়ায় আন্দোলনরত কৃষকেরা৷
আরও পড়ুন : "দিল্লির বিক্ষোভকারীরা কৃষক নন, জঙ্গি"; বলছেন কর্নাটকের মন্ত্রী
এই ঘটনার পরই দিল্লিজুড়ে অতিরিক্ত আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বেশ কিছু এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।