কলকাতা, 4 জুলাই: দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ সব শান্ত । সোমবার সকাল 11টা 20 মিনিটের মাথায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগের পতন ঘটল আজ ।
27 জুন থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল ৷ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি ৷ তবে আজ ফের সকাল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয় ৷ দেওয়া হয় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট । ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় 3 । যার কারণে এদিন এসএসকেএম হাসপাতালের সিসিইউ থেকে তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
দীর্ঘ দু'দশকেরও বেশি সময় ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগেছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক ৷ 91 বছর বয়সে এসে সেই সমস্যাই আরও জটিল আকার নিয়েছিল ৷ সঙ্গে যোগ হয়েছে ডায়াবেটিস, ফুসফুসের সমস্যা ৷ 21 জুন শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসএসকেএমে ভর্তি হতে হয় বর্ষীয়ান এই পরিচালককে । তাঁর জন্য নিয়োজিত মেডিক্যাল বোর্ডে ছিলেন ডাঃ সরোজ মণ্ডল, ডাঃ সোমনাথ কুণ্ডু, ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ, ডাঃ বিমান রায়, ডাঃ অর্পিতা রায়চৌধুরী । নেফ্রোলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরীর অধীনেই ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : তারুণ্যের আরেক নাম তরুণ মজুমদার
দর্শককে একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন কিংবদন্তি এই পরিচালক। পলাতক, নিমন্ত্রণ, সংসার সীমান্তে, গণদেবতা, বালিকা বধূ, কুহেলী, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, ভালোবাসা ভালোবাসা, পরশমণি, আলো এবং সাম্প্রতিককালে ভালোবাসার বাড়ি-র মতো ছবির পরিচালনা করেন তিনি। 'ভালোবাসার বাড়ি'তে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন বাংলা টেলিভিশনের আজকের জনপ্রিয় অভিনেতা প্রতীক সেন ।
তাঁর প্রয়াণে এদিন বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগের সমাপ্তি ঘটল ।