বদায়ুঁ (উত্তরপ্রদেশ), 12 ডিসেম্বর: ময়নাতদন্তের পর উধাও দু'টি চোখ ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চোখ চুরির অভিযোগ তুলল মৃতের পরিবার ৷ 10 ডিসেম্বর, রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার মাজুরিয়া থানা এলাকায় রসুলা গ্রামে ৷
মৃতার নাম পূজা ৷ মাত্র 9 মাস আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল ৷ তাঁর বাড়িতেই তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৷ মৃতার বাবা-মা শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে ৷ তাঁদের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতেই পূজাকে হত্যা করা হয়েছে ৷ এদিকে ঘটনার পরপরই পূজার মৃতদেহ ফেলেই পালিয়ে যায় তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং একটি মামলা দায়ের করে ৷ 10 ডিসেম্বর বদায়ুঁতে পূজার ময়নাতদন্ত হয় ৷
এরপর দেহ বাড়ি ফিরলেই একেবারে আঁতকে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা ৷ কেউ যেন পূজার দু'টি চোখ উপড়ে নিয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট মনোজ কুমারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেয় পূজার পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁরা অভিযোগ করেন, ময়নাতদন্তের পর পূজার দেহ বাড়ি ফিরেছে ৷ কিন্তু তাঁর দেহ থেকে চোখ দু'টি চুরি গিয়েছে ৷
পূজার বাবা গঙ্গাচরণ বলেন, "বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য পূজাকে চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ৷ তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িরা তাঁর উপর অত্যাচার করত ৷" তিনি আরও জানান, পূজার মৃত্যুর সময় চোখ ঠিকই ছিল ৷ তবে ময়নাতদন্ত হওয়ার পর তাঁর দেহ বাড়িতে আসে এবং তা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যান বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন ৷
পূজার এক আত্মীয় কালীচরণ বলেন, "আমরা পূজার শেষকৃত্য করিনি ৷ আমরা ওর মৃতদেহ দেখে আঁতকে উঠেছিলাম ৷ দেখালাম, কোনও চোখ নেই ৷ আমরা সঙ্গে সঙ্গে বদায়ুঁতে ফিরে আসি ৷ ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট মনোজ কুমারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিই৷" তাঁর অভিযোগ, ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ার সময়ই চোখ দু'টি চুরি করা হয়েছে ৷ এদিকে পুলিশের উচ্চাধিকারিক এসএসপি ডঃ ওপি সিং বলেন, "এই ঘটনার তদন্ত চলছে ৷ আমরা দেহটি হেফাজতে নিয়েছি ৷"
আরও পড়ুন: