পুনে, 10 ডিসেম্বর: এ যেন কোনও বলিউড মুভির চিত্রনাট্য ৷ কোনও মার্ডার মিস্ট্রি ঘরানার প্লট ৷ রাতের অন্ধকারে এক ব্যক্তির দেহ খাদে ফেলে দেওয়া হচ্ছে ৷ এবং সেই দৃশ্যই দেখে নিলেন আর এক ব্যক্তি ৷ বুদ্ধির জোরে ঘটনাটি ক্য়ামেরাবন্দিও করে রাখলেন ৷ প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেও পরে সাহস করে পুলিশকে বিষয়টি জানান ৷ পরে পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্তরা (Pune Murder Case) ৷
জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে পুনের চাকন পুলিশ এক ব্যক্তির মৃতদেহ খুঁজে পায় ৷ যিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ৷ নাম প্রসেনজিৎ গড়াই (35) ৷ অভিযোগ, তাঁকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল ৷ তিনি একটি রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজ করতেন ৷
আরও জানা গিয়েছে, চাকন শিকরাপুরে 'ওমকার ধাবা' নামে একটি রাস্তার পাশের একটি রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজ শুরু করেন প্রসেনজিৎ নামে ওই ব্যক্তি ৷ খাবারে অতিরিক্ত নুন দিয়ে দেওয়ার 'অপরাধে' ক্ষুব্ধ হোটেল মালিক ওমকার কেন্দ্রে (21) এবং তার সহযোগী কৈলেশ কেন্দ্রে (19) রান্না নিয়ে তীরস্কার করেন ৷ এরপর তারা প্রসেনজিতের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে দেয় এবং তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে ৷ অবশেষে তাঁকে খুন করে । প্রথম দিন রেস্তোরাঁয় মধ্যেই দেহ পড়ে থাকে । এরপর দ্বিতীয় দিন দেহ শক্ত হতে শুরু করলে দু'জন তাঁর জামাকাপড় খুলে তা উনুনে পুড়িয়েও দেয় । অবশেষে 28 অক্টোবর মধ্যরাতে লাশ নিয়ে একটি নির্জন জায়গায় ফেলে দেয় ।
আরও পড়ুন: গর্ভপাতের ওষুধ খেয়ে মৃত্যু নাবালিকা প্রেমিকার, যাবজ্জীবনের সাজা প্রেমিকের
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ঘটনার সময় হোটেলে আরও তিনজন শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন । তবে তাদের মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দেয়, অন্যথায় তাদেরও একই পরিণতি হবে বলে জানায় । দুষ্কৃতীদের মনে হয়েছিল খুন করে তারা সহজেই পার পেয়ে যাবে । কিন্তু যখন তারা দেহ লোপাটের চেষ্টা করছিল সেই সময় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে ফেলেন ৷ পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে এবং 6 নভেম্বর একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে । তদন্তে নেমে পুলিশ ওমকার কেন্দ্রে এবং তার সহযোগী কৈলেশ কেন্দ্রেকে জেরা করে ৷ লাগাতার জেরার মুখে পড়ে ভেঙে পড়েন তারা এবং খুনের কথা স্বীকার করে ৷