হলদওয়ানি (উত্তরাখণ্ড), 14 ডিসেম্বর: ফের ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ৷ এবার উত্তরাখণ্ডের তান্ডা রেঞ্জে মৃত্যু হল পুরুষ হাতির ৷ ঘটনায় আহতে হয়েছে সাত মাসের হস্তি শাবক । খবর পেয়ে রেলের পাশাপাশি বন দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসেছেন । লালকুয়ান-বরেলি এবং রামপুর রেলপথে হাতির মৃত্যুর পর এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে বন বিভাগ ও রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে ।
জানা গিয়েছে, লালকুয়ান কোতোয়ালি এলাকার বেরেলি রেলপথে শ্মশান ঘাটের পাশ দিয়ে প্রবল গতিতে একটি ট্রেনের বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন যাচ্ছিল ৷ সেসময় সেখান থেকে পুরুষ হাতি শাবক নিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল । ট্রেনের ধাক্কা মারে দুটি হাতিকে ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পুরুষ হাতিটির ৷ সাত মাস বয়সি শাবকটি গুরুতর আহত হয় । গৈলা রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার চন্দন সিং অধিকারী বন বিভাগের দল-সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন এবং আহত হাতিটিকে উদ্ধার করেন । আহত হস্তি শাবকটির চিকিৎসা চলছে । মৃত হাতিটিকে ময়নাতদন্তের পাঠানো হবে ।
একের পর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৷ এরপর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে রেল প্রশাসন ও বন বিভাগের ভূমিকা নিয়ে । কারণ এই রেললাইনে ট্রেনের গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে । অন্যদিকে বন বিভাগের কর্মীদের টহল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । তা সত্ত্বেও ক্রমাগত ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যু হচ্ছে । এক সপ্তাহ আগেও ট্রেনের ধাক্কায় একটি হাতির প্রাণ যায় । এদিনের ঘটনায় ট্রেনের ইঞ্জিন চালানো পাইলটের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বন বিভাগ । বন কর্মকর্তা বলছেন, "ইঞ্জিন নম্বরও নোট করা হয়েছে । এই পরিসরে ট্রেনের গতিবেগ নির্ধারণ করা হয়েছে । কিন্তু তা মানা হচ্ছে না । এ বিষয়ে আমরা রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব ।"
উত্তরাখণ্ড বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত 23 বছরে তরাই কেন্দ্রীয় বন বিভাগের অধীনে লালকুয়ান-রুদ্রপুর রেলপথে ট্রেনের ধাক্কায় 11টি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । অন্যদিকে লালকুয়ান-বরেলি রুটে ট্রেনের ধাক্কায় দুটি হাতির মৃত্যু হয়েছে । গত 23 বছরে রেলের গাফিলতির কারণে অকালে প্রাণ হারিয়েছে 13টি হাতি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: