ETV Bharat / state

নর্দমার জল পরিশোধিত করবে কলকাতা পুরনিগম, সাহায্যে করবে খড়গপুর আইআইটি - KMC SEWERAGE

জল আর অপচয় নয় ৷ নিকাশি জল পরিশোধন করেই পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলবে কলকাতা কর্পোরেশন ৷ সাহায্য করবে আইআইটি খড়গপুর ৷

KMC IIT KHARAGPUR
বাঁ-দিক থেকে আইআইটি খড়গপুর ও কলকাতা কর্পোরেশন (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 30, 2025, 12:36 PM IST

কলকাতা, 30 জানুয়ারি: চাঁপদানি পুরসভায় হয়েছিল ছোট আকারে। সেই প্রকল্পই এবার বড় পরিসরে করতে চলেছে কলকাতা কর্পোরেশন। জল আর অপচয় নয়, নিকাশি জল পরিশোধন করে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করবে কেএমসি ৷ আইআইটি খড়গপুর প্রযুক্তিতে হবে প্ল্যান্ট। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর শুরু হল পরিকল্পনা।

অধ্যাপক শীর্ষেন্দু দে'কে নিয়ে বুধবার কলকাতা কর্পোরেশনের নিকাশি কর্তারা ঘুরে দেখলেন বেশ কয়েকটি নিকাশি পাম্পিং স্টেশন। চাঁপদানি পুরসভার একটি জায়গায় ছোট আকারে খড়গপুর এই প্ল্যান্ট করে। নিকাশি জল পরিশোধন করে সেই জল শৌচালয় ব্যবহার করা হয়। সেই কর্মকাণ্ড জানতে পেরে বিভাগীয় কর্তাদের নিয়ে ছোটেন নিকাশি বিভাগের মেয়র পরিষদ তারক সিং। তিনি দেখে পরিকল্পনা করেন কীভাবে ওই প্রকল্প বড় আকারে কলকাতায় করা যায়। তাহলে বহু নাগরিক যেমন উপকৃত হবে তেমন পানীয় জলের বিরাট অপচয় ঠেকানো যাবে।

এরপর নানা ধাপের মধ্য দিয়ে আলোচনা এগিয়ে চলে। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এদিন কলকাতার মেয়রের সঙ্গে অধ্যাপক শীর্ষেন্দু দে দেখা করেন। ছিলেন নিকাশি বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য তারক সিং, ডিজি শান্তনু ঘোষ-সহ অন্যান্যরা। দীর্ঘ সময় এই প্রযুক্তি সম্পর্কে মেয়রকে বোঝানো হয়। তারপরেই মেয়র সবুজ সঙ্কেত দেয় বিষয়টি এগোনোর। সেই মতো এদিন বেশ কয়েকটি নিকাশি পাম্পিং স্টেশন ঘুরে দেখেন তাঁরা।

কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, এই প্ল্যান্ট তৈরি করতে 25-28 লাখ টাকা খরচ হবে। 50 কিলো লিটার প্রতিদিন উৎপাদন হবে এমন একটি প্ল্যান্ট প্রথম করা হবে। 1000 লিটার নিকাশি জল পরিশোধন করে ব্যবহার যোগ্য করে তুলতে খরচ পড়বে 5-14 টাকা। নিকাশি পাম্পিং স্টেশনের জল ধারণ ক্ষমতার উপর কত উৎপাদন করা যাবে সেই প্ল্যান্টের আকারের উপর নির্ভর করছে। এই জল অনেকটাই জীবাণু মুক্ত। রং ও গন্ধহীন করা গিয়েছে। ফলে গাড়ি ধোয়া, গাছে জল দেওয়া, রাস্তায় জল ছিটানো, সাধারণ শৌচালয়গুলিতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নোনাডাঙা বা সার্দান অ্যাভিনিউতে পাম্পিং স্টেশনে প্রথম হতে পারে।

মেয়র পরিষদ সদস্য তারক সিং দাবি করেন, আইআইটি খড়গপুড়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই কাজ হবে। আমরা প্রথম এই কাজ করছি। এই প্রযুক্তি পেটেন্ট দাবি করব। কেউ চাইলে করতে পারে আমাদের খরচ দিতে হবে। এটা হলে পানীয় জল অপচয় অনেকটাই কমবে। গঙ্গা দূষণ কমবে। পরিবেশ রক্ষায় জল দেওয়া থেকে ধুলো নিয়ন্ত্রণ, সবটাই বেশি নজর দেওয়া যাবে।

কলকাতা, 30 জানুয়ারি: চাঁপদানি পুরসভায় হয়েছিল ছোট আকারে। সেই প্রকল্পই এবার বড় পরিসরে করতে চলেছে কলকাতা কর্পোরেশন। জল আর অপচয় নয়, নিকাশি জল পরিশোধন করে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করবে কেএমসি ৷ আইআইটি খড়গপুর প্রযুক্তিতে হবে প্ল্যান্ট। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর শুরু হল পরিকল্পনা।

অধ্যাপক শীর্ষেন্দু দে'কে নিয়ে বুধবার কলকাতা কর্পোরেশনের নিকাশি কর্তারা ঘুরে দেখলেন বেশ কয়েকটি নিকাশি পাম্পিং স্টেশন। চাঁপদানি পুরসভার একটি জায়গায় ছোট আকারে খড়গপুর এই প্ল্যান্ট করে। নিকাশি জল পরিশোধন করে সেই জল শৌচালয় ব্যবহার করা হয়। সেই কর্মকাণ্ড জানতে পেরে বিভাগীয় কর্তাদের নিয়ে ছোটেন নিকাশি বিভাগের মেয়র পরিষদ তারক সিং। তিনি দেখে পরিকল্পনা করেন কীভাবে ওই প্রকল্প বড় আকারে কলকাতায় করা যায়। তাহলে বহু নাগরিক যেমন উপকৃত হবে তেমন পানীয় জলের বিরাট অপচয় ঠেকানো যাবে।

এরপর নানা ধাপের মধ্য দিয়ে আলোচনা এগিয়ে চলে। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এদিন কলকাতার মেয়রের সঙ্গে অধ্যাপক শীর্ষেন্দু দে দেখা করেন। ছিলেন নিকাশি বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য তারক সিং, ডিজি শান্তনু ঘোষ-সহ অন্যান্যরা। দীর্ঘ সময় এই প্রযুক্তি সম্পর্কে মেয়রকে বোঝানো হয়। তারপরেই মেয়র সবুজ সঙ্কেত দেয় বিষয়টি এগোনোর। সেই মতো এদিন বেশ কয়েকটি নিকাশি পাম্পিং স্টেশন ঘুরে দেখেন তাঁরা।

কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, এই প্ল্যান্ট তৈরি করতে 25-28 লাখ টাকা খরচ হবে। 50 কিলো লিটার প্রতিদিন উৎপাদন হবে এমন একটি প্ল্যান্ট প্রথম করা হবে। 1000 লিটার নিকাশি জল পরিশোধন করে ব্যবহার যোগ্য করে তুলতে খরচ পড়বে 5-14 টাকা। নিকাশি পাম্পিং স্টেশনের জল ধারণ ক্ষমতার উপর কত উৎপাদন করা যাবে সেই প্ল্যান্টের আকারের উপর নির্ভর করছে। এই জল অনেকটাই জীবাণু মুক্ত। রং ও গন্ধহীন করা গিয়েছে। ফলে গাড়ি ধোয়া, গাছে জল দেওয়া, রাস্তায় জল ছিটানো, সাধারণ শৌচালয়গুলিতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নোনাডাঙা বা সার্দান অ্যাভিনিউতে পাম্পিং স্টেশনে প্রথম হতে পারে।

মেয়র পরিষদ সদস্য তারক সিং দাবি করেন, আইআইটি খড়গপুড়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই কাজ হবে। আমরা প্রথম এই কাজ করছি। এই প্রযুক্তি পেটেন্ট দাবি করব। কেউ চাইলে করতে পারে আমাদের খরচ দিতে হবে। এটা হলে পানীয় জল অপচয় অনেকটাই কমবে। গঙ্গা দূষণ কমবে। পরিবেশ রক্ষায় জল দেওয়া থেকে ধুলো নিয়ন্ত্রণ, সবটাই বেশি নজর দেওয়া যাবে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.