ETV Bharat / bharat

মস্তিষ্কের উপর COVID-19 এর প্রভাব (দ্বিতীয় ভাগ) - Effects Of COVID-19 On Brain

অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল প্রভাব অত প্রকট না হলেও মস্তিষ্কে সাইক্রিয়াটিক প্রভাব কিন্তু অত্যন্ত প্রকট । এর পিছনে কারণ এটাই যে, আমরা বর্তমানে অথনৈতিক টানাপোড়েন, অনিশ্চয়তা প্রভৃতির মধে্য রয়েছি ।

মস্তিষ্কের উপর COVID-19 এর প্রভাব (দ্বিতীয় ভাগ)
মস্তিষ্কের উপর COVID-19 এর প্রভাব (দ্বিতীয় ভাগ)
author img

By

Published : Nov 12, 2020, 8:08 PM IST

বিচিত্র উপসর্গ এবং ফলের সৌজন্যে চিকিৎসার দুনিয়ায় COVID-19 রীতিমতো সন্ত্রাসের সূচনা করেছে । যারা এতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে এসেছেন, উভয়ের ক্ষেত্রেই নভেল কোরোনা ভাইরাসে নানা ধরনের নিউরোসাইক্রিয়াটিক উপসর্গ দেখা গিয়েছে । এনসেফালোপ্যাথি, এনসেফেলাইটিস, রক্তজালিকা এবং শিরায় রক্ত জমে যাওয়ার মতো একাধিক রোগে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে । এছাড়াও মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন, এমনকী যাদের ডায়াবিটিস, স্ট্রোক, উচ্চরক্তচাপের অতীত পারিবারিক ইতিহাস নেই তাদেরও এসব হচ্ছে । মস্তিষ্কে COVID-19 এর প্রভাব আরও ভালভাবে বুঝতে আমরা হায়দরাবাদের অ্যাপোলো হসপিটালস এবং ম্যাগমা নিউরোলজির কনসালটেন্ট নিউরোলজিস্ট ডা. শ্রীকান্ত ভেমুলার সঙ্গে কথা বলেছি ।

মস্তিকে COVID-19 এর নাটকীয় প্রভাব

অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল প্রভাব অত প্রকট না হলেও মস্তিষ্কে সাইক্রিয়াটিক প্রভাব কিন্তু অত্যন্ত প্রকট । এর পিছনে কারণ এটাই যে, আমরা বর্তমানে অথনৈতিক টানাপোড়েন, অনিশ্চয়তা প্রভৃতির মধে্য রয়েছি । ডা. শ্রীকান্তের কথায়, "এই ধরনের গুরুতর কিছু লক্ষ্মণ অনুভব না করলেও বেশিরভাগ মানুষেরই কোরোনা থেকে সেরে ওঠার পর মাথাব্যথা হচ্ছে ৷ ঠিক মাইগ্রেনের ব্যথার মতো । যাদের মাইগ্রেন বা মাথাব্যথার সমস্যা আগে থেকেই ছিল তাদের ক্ষেত্রে যন্ত্রণা আরও তীব্র হচ্ছে । মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে সাধারণত কারও একদিকে বা মাথার দুই দিকেই গভীর, গাঢ় ব্যথার পাশাপাশি আলো ও শব্দ সহ্য করতে না পারা, বমিভাব প্রভৃতি বোধ হয় । COVID-19 থেকে সেরে ওঠার পর যে পরিবর্তনগুলি মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এইসব উপসর্গের সঙ্গে তার বেশ মিল আছে ।" তিনি আরও ব্যাখা করে জানিয়েছেন যে, কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে তিনি কয়েকটি অদ্ভূত উপসর্গ লক্ষ্য করেছেন ৷ যেমন অতি তীব্র যন্ত্রণাদায়ক এবং অসহ্য মাথাব্যথা তাদেরও হয়েছে কিন্তু খুবই অল্প সময়ের জন্য । তাঁর কথায়, "দু’টি শিশু, যাদের বয়স যথাক্রমে 13 ও 14 বছর পরপর হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল ৷ আর তাদের দু’জনের ক্ষেত্রেই এই উপসর্গ আমি দেখেছি । ওদের খুব স্বল্প সময়ের জন্য প্রচণ্ড মাথাব্যথা হত ৷ আবার হঠাৎ করে মিলিয়েও যেত । এর আগে এরকম অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য আমি দেখিনি ।" এছাড়াও মুড তথা ভাবাবেগের তারতম্য যেমন, উদ্বেগ, অবসাদ, বিরক্তি ও রাগ বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে । এছাড়া তিনি যেটা লক্ষ্য করেছেন সেটা হল অবসাদের চিকিৎসা করার সময় এদের মাথাব্যথার সমস্যার নিরাময় হয়েছে । তাছাড়াও COVID-19 সংক্রমণের পর যাদের আগে থেকেই সাইক্রিয়াটিক অসুস্থতা ছিল, তাদের ক্ষেত্রে পরে তা আরও খারাপের দিকে গিয়েছে ।

আমাদের বিশেষজ্ঞের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অটোইমিউন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গিয়েছে । যার অর্থ এই যে, শরীর নিজে থেকেই প্রতিক্রিয়া করেছে । এক্ষেত্রে যদিও মস্তিষ্কের পরিধির মধে্য থাকা স্নায়ুগুলিকে দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল হতে দেখা গিয়েছে ৷ যে কারণে বেশিরভাগ মানুষ দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় কোরোনা থেকে সেরে ওঠার পর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর সমস্যায় বেশি ভুগছেন ।

এছাড়াও রয়েছে "ডিমাইলিনেটিং" পরিবর্তন । মাইলিং হল মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য অংশে স্নায়ুগুলিকে ঢেকে রাখা একটি আচ্ছাদন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি হারিয়ে যায় ফলে স্নায়ুর ক্ষমতা কমে যায় এবং তারা ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে যে অংশে এই পরিবর্তন ঘটে তা কম সক্রিয়। এই "ডিমাইলিনেটিং" পরিবর্তনও COVID-19 পরবর্তী সময়ে ঘটছে । পাশাপাশি, দেখা যাচ্ছে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসও ৷ যদিও তা খুব বেশি নয় ।

এছাড়াও এতে জড়িয়ে পড়েছে পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্র । পেরিফেরাল স্নায়ু মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ডকে গোটা শরীরের সঙ্গে জুড়ে রাখে যার ফলে সমস্ত দেহের যে কোনও অনুভূতি, গতিবিধি অনুধাবন করা এবং এ সবের মধে্য সংযোগসাধন সম্পন্ন হয় । অনেকের ক্ষেত্রে "ফুট ড্রপ"-এর সমস্যাও দেখা গিয়েছে । এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে পা হঠাৎ করে দুর্বল হয়ে যায় এবং পায়ের সামনের অংশ ঝুঁকে যায় । মানুষ ঠিকভাবে হাঁটতে পারে না । তাদের লম্বা লম্বা দূরত্বে পা ফেলে চলতে হয় । স্টেরয়েড প্রয়োগে এর চিকিৎসা করা হয় এবং আক্রান্তরা ভালভাবে সুস্থও হয়ে ওঠে । কিছু কিছু মানুষের পায়ের মাংসপেশীর আকস্মিক ব্যথা এবং টানও অনুভূত হয়েছে ।

অতীতের সঙ্গে তুলনা টানা

এই বিশ্বে এর আগে যতগুলি প্যানডেমিক এবং অতিমারি হয়েছে, তার সঙ্গে নানা ধরনের নার্ভাস ডিজঅর্ডারের যোগসূত্রও দেখা গিয়েছে ৷ যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা প্রমাণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি । বিংশ শতকের অতিমারিগুলির মধে্য মোটামুটি 1916 থেকে 1930 সালের মধে্য দেখা গিয়েছিল এনসেফেলাইটিস লেথারজিকা ৷ যেখানে নার্ভাস সিস্টেম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হত এবং মানুষজন পারকিনসনস রোগে ভুগতেন । এনসেফেলাইটিস এবং স্লিপিং সিকনেস-এর সঙ্গে এর আগে হওয়া বেশ কিছু ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপের যোগসূত্রও মিলেছে ।

COVID-19 এবং মস্তিষ্কের মধে্য সম্পর্ক খোঁজার গবেষণা যেখানে এখনও চলছে, সেখানে চিকিৎসকরা রোগীদের উপসর্গ দেখেই চিকিৎসা করছেন। বেশিরভাগ রোগীই সেরে উঠছেন বটে কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি খারাপের দিকেও যাচ্ছে । সুতরাং যদিও কোরোনা সংক্রমণের হার কমছে এবং মানুষজন ক্রমশ সেরে উঠে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যাচ্ছেন ৷ তবুও এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে এখনও সকলকে অনেক বেশি যত্ন আর চূড়ান্ত সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে । যারা নভেল কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি, তাদের সতর্ক থাকতে হবে । আবার যারা সেরে উঠেছেন তাদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে । মাথাব্যথা, প্রগাঢ় যন্ত্রণা, বমিভাব, তীব্র ক্লান্তি প্রভৃতি যদি কোরোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।

বিচিত্র উপসর্গ এবং ফলের সৌজন্যে চিকিৎসার দুনিয়ায় COVID-19 রীতিমতো সন্ত্রাসের সূচনা করেছে । যারা এতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে এসেছেন, উভয়ের ক্ষেত্রেই নভেল কোরোনা ভাইরাসে নানা ধরনের নিউরোসাইক্রিয়াটিক উপসর্গ দেখা গিয়েছে । এনসেফালোপ্যাথি, এনসেফেলাইটিস, রক্তজালিকা এবং শিরায় রক্ত জমে যাওয়ার মতো একাধিক রোগে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে । এছাড়াও মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন, এমনকী যাদের ডায়াবিটিস, স্ট্রোক, উচ্চরক্তচাপের অতীত পারিবারিক ইতিহাস নেই তাদেরও এসব হচ্ছে । মস্তিষ্কে COVID-19 এর প্রভাব আরও ভালভাবে বুঝতে আমরা হায়দরাবাদের অ্যাপোলো হসপিটালস এবং ম্যাগমা নিউরোলজির কনসালটেন্ট নিউরোলজিস্ট ডা. শ্রীকান্ত ভেমুলার সঙ্গে কথা বলেছি ।

মস্তিকে COVID-19 এর নাটকীয় প্রভাব

অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল প্রভাব অত প্রকট না হলেও মস্তিষ্কে সাইক্রিয়াটিক প্রভাব কিন্তু অত্যন্ত প্রকট । এর পিছনে কারণ এটাই যে, আমরা বর্তমানে অথনৈতিক টানাপোড়েন, অনিশ্চয়তা প্রভৃতির মধে্য রয়েছি । ডা. শ্রীকান্তের কথায়, "এই ধরনের গুরুতর কিছু লক্ষ্মণ অনুভব না করলেও বেশিরভাগ মানুষেরই কোরোনা থেকে সেরে ওঠার পর মাথাব্যথা হচ্ছে ৷ ঠিক মাইগ্রেনের ব্যথার মতো । যাদের মাইগ্রেন বা মাথাব্যথার সমস্যা আগে থেকেই ছিল তাদের ক্ষেত্রে যন্ত্রণা আরও তীব্র হচ্ছে । মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে সাধারণত কারও একদিকে বা মাথার দুই দিকেই গভীর, গাঢ় ব্যথার পাশাপাশি আলো ও শব্দ সহ্য করতে না পারা, বমিভাব প্রভৃতি বোধ হয় । COVID-19 থেকে সেরে ওঠার পর যে পরিবর্তনগুলি মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এইসব উপসর্গের সঙ্গে তার বেশ মিল আছে ।" তিনি আরও ব্যাখা করে জানিয়েছেন যে, কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে তিনি কয়েকটি অদ্ভূত উপসর্গ লক্ষ্য করেছেন ৷ যেমন অতি তীব্র যন্ত্রণাদায়ক এবং অসহ্য মাথাব্যথা তাদেরও হয়েছে কিন্তু খুবই অল্প সময়ের জন্য । তাঁর কথায়, "দু’টি শিশু, যাদের বয়স যথাক্রমে 13 ও 14 বছর পরপর হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল ৷ আর তাদের দু’জনের ক্ষেত্রেই এই উপসর্গ আমি দেখেছি । ওদের খুব স্বল্প সময়ের জন্য প্রচণ্ড মাথাব্যথা হত ৷ আবার হঠাৎ করে মিলিয়েও যেত । এর আগে এরকম অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য আমি দেখিনি ।" এছাড়াও মুড তথা ভাবাবেগের তারতম্য যেমন, উদ্বেগ, অবসাদ, বিরক্তি ও রাগ বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে । এছাড়া তিনি যেটা লক্ষ্য করেছেন সেটা হল অবসাদের চিকিৎসা করার সময় এদের মাথাব্যথার সমস্যার নিরাময় হয়েছে । তাছাড়াও COVID-19 সংক্রমণের পর যাদের আগে থেকেই সাইক্রিয়াটিক অসুস্থতা ছিল, তাদের ক্ষেত্রে পরে তা আরও খারাপের দিকে গিয়েছে ।

আমাদের বিশেষজ্ঞের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অটোইমিউন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গিয়েছে । যার অর্থ এই যে, শরীর নিজে থেকেই প্রতিক্রিয়া করেছে । এক্ষেত্রে যদিও মস্তিষ্কের পরিধির মধে্য থাকা স্নায়ুগুলিকে দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল হতে দেখা গিয়েছে ৷ যে কারণে বেশিরভাগ মানুষ দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় কোরোনা থেকে সেরে ওঠার পর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর সমস্যায় বেশি ভুগছেন ।

এছাড়াও রয়েছে "ডিমাইলিনেটিং" পরিবর্তন । মাইলিং হল মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য অংশে স্নায়ুগুলিকে ঢেকে রাখা একটি আচ্ছাদন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি হারিয়ে যায় ফলে স্নায়ুর ক্ষমতা কমে যায় এবং তারা ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে যে অংশে এই পরিবর্তন ঘটে তা কম সক্রিয়। এই "ডিমাইলিনেটিং" পরিবর্তনও COVID-19 পরবর্তী সময়ে ঘটছে । পাশাপাশি, দেখা যাচ্ছে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসও ৷ যদিও তা খুব বেশি নয় ।

এছাড়াও এতে জড়িয়ে পড়েছে পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্র । পেরিফেরাল স্নায়ু মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ডকে গোটা শরীরের সঙ্গে জুড়ে রাখে যার ফলে সমস্ত দেহের যে কোনও অনুভূতি, গতিবিধি অনুধাবন করা এবং এ সবের মধে্য সংযোগসাধন সম্পন্ন হয় । অনেকের ক্ষেত্রে "ফুট ড্রপ"-এর সমস্যাও দেখা গিয়েছে । এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে পা হঠাৎ করে দুর্বল হয়ে যায় এবং পায়ের সামনের অংশ ঝুঁকে যায় । মানুষ ঠিকভাবে হাঁটতে পারে না । তাদের লম্বা লম্বা দূরত্বে পা ফেলে চলতে হয় । স্টেরয়েড প্রয়োগে এর চিকিৎসা করা হয় এবং আক্রান্তরা ভালভাবে সুস্থও হয়ে ওঠে । কিছু কিছু মানুষের পায়ের মাংসপেশীর আকস্মিক ব্যথা এবং টানও অনুভূত হয়েছে ।

অতীতের সঙ্গে তুলনা টানা

এই বিশ্বে এর আগে যতগুলি প্যানডেমিক এবং অতিমারি হয়েছে, তার সঙ্গে নানা ধরনের নার্ভাস ডিজঅর্ডারের যোগসূত্রও দেখা গিয়েছে ৷ যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা প্রমাণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি । বিংশ শতকের অতিমারিগুলির মধে্য মোটামুটি 1916 থেকে 1930 সালের মধে্য দেখা গিয়েছিল এনসেফেলাইটিস লেথারজিকা ৷ যেখানে নার্ভাস সিস্টেম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হত এবং মানুষজন পারকিনসনস রোগে ভুগতেন । এনসেফেলাইটিস এবং স্লিপিং সিকনেস-এর সঙ্গে এর আগে হওয়া বেশ কিছু ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপের যোগসূত্রও মিলেছে ।

COVID-19 এবং মস্তিষ্কের মধে্য সম্পর্ক খোঁজার গবেষণা যেখানে এখনও চলছে, সেখানে চিকিৎসকরা রোগীদের উপসর্গ দেখেই চিকিৎসা করছেন। বেশিরভাগ রোগীই সেরে উঠছেন বটে কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি খারাপের দিকেও যাচ্ছে । সুতরাং যদিও কোরোনা সংক্রমণের হার কমছে এবং মানুষজন ক্রমশ সেরে উঠে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যাচ্ছেন ৷ তবুও এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে এখনও সকলকে অনেক বেশি যত্ন আর চূড়ান্ত সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে । যারা নভেল কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি, তাদের সতর্ক থাকতে হবে । আবার যারা সেরে উঠেছেন তাদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে । মাথাব্যথা, প্রগাঢ় যন্ত্রণা, বমিভাব, তীব্র ক্লান্তি প্রভৃতি যদি কোরোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.