নয়াদিল্লি, 28 এপ্রিল : ভারতের অন্যতম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন বি.1.617 ভ্যারিয়ান্ট বা ভারতের "ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন"কে প্রতিরোধ করতে সক্ষম, জানালেন খোদ আমেরিকার হোয়াইট হাউজের চিফ মেডিক্যাল অফিসার অ্যান্থনি ফসি ৷
মঙ্গলবার তিনি বলেন, "প্রতিদিন এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি আমরা ৷ কিন্তু সম্প্রতি এই তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কোভিড সংক্রমণ হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন এমন 'সেরা অফ কোভিড-19'-এর ক্ষেত্রে বেশির ভাগই ভারতে উৎপাদিত কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন ৷ এটা 617 ভ্যারিয়্য়ান্টস প্রতিরোধ করতে সক্ষম ৷ তাই ভারতের বর্তমান সংকটের সমাধানে ভ্যাকসিনেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষেধক ৷"
মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রকাশ করেছে, রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতাকে এমন ভাবে গড়ে তোলে যাতে কোভ্যাক্সিন সার্স-কোভ-2 করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি হয় শরীরে ৷ এই অ্যান্টিবডিগুলি ভাইরাল প্রোটিন মানে তথাকথিত স্পাইরাল প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়, যা ঢাল হিসেবে কাজ করে ৷
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি আর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সঙ্গে একযোগে ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন তৈরি করে ৷ এ বছরের 3 জানুযারি থেকে এই ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয় ৷ পরে ট্রায়ালের ফলে দেখা যায় যে এই ভ্যাকসিনের 78 শতাংশ কার্যক্ষমতা রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: টিকার জন্য আজ থেকে শুরু নাম নথিভুক্তকরণ, কীভাবে করবেন ?
হু-র বক্তব্য-
হু মঙ্গলবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, কোভিড-19-এর বি.1.617 ভ্যারিয়ান্টের জন্যই ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এরকম হুহু করে বেড়ে চলেছে ৷ এ ছাড়া আরও ডজন খানেক দেশেও এই ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গিয়েছে ৷
রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, কোভিড-19-এর বি.1.617 ভ্যারিয়ান্ট প্রথম ভারতে পাওয়া যায় ৷ জিআইএসএআইডি-র ডেটাবেসে 1200-র বেশি সিকোয়েন্স থেকে জানা গিয়েছে "কমপক্ষে 17টি দেশে" এই ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গিয়েছে ৷
হু-র প্যানডেমিক সংক্রান্ত সাপ্তাহিক এপিডেমিওলজিক্যাল আপডেট আর তার বেশির ভাগই ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা আর সিঙ্গাপুরে রয়েছে ৷
সম্প্রতি হু এই ভ্যারিয়ান্টকে "ভ্যারিয়ান্ট অফ ইন্টারেস্ট" নামকরণ করেছে ৷
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইট হাউজের কোভিড-19 রেসপন্স সিনিয়র অ্যাডভাইজার অ্যান্ডি স্ল্যাভিট জানিয়েছেন, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ভারতে রওনা দিয়েছে ৷ করোনাভাইরাসের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পিপিই কিট, কাঁচা মাল, ভেন্টিলেটর পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন খুবই নিরাপদ আর যথেষ্ট রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা রয়েছে ৷ বিশ্বের অনেক দেশেই এটা ব্যবহারের অনুমোদন পেলেও আমেরিকায় এটা ব্যবহার করা হয় না ৷ আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে পিফাইজার, মডার্না আর জনসন অ্যান্ড জনসন রয়েছে ৷"
তাই হয়তো ভারতেও এই ভ্যাকসিন পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে, এমনই ইঙ্গিত কি দিলেন তিনি ?