পটনা (বিহার), 24 অক্টোবর: স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ যদি পুরুষ হন (Male Gynaecologist), তাহলে তাঁকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ৷ মজার ছলে এই বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে আয়ুষ্মান খুরানার (Ayushmann Khurrana) ‘ডক্টর জি’ সিনেমায় ৷ কিন্তু বাস্তবের পরিস্থিতি ঠিক কী ? তা জানতেই ইটিভি ভারত কথা বলেছিল ড. হিমাংশু রাইয়ের সঙ্গে ৷
এই ‘পুরুষ চিকিৎসক’ গত 25 বছর ধরে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন ৷ তাঁরা বাবা ড. শান্তি রাইও একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন ৷ তিনি পদ্মশ্রীও (Padmashree awardee) পেয়েছিলেন ৷
পুরুষ চিকিৎসক হিসেবে স্ত্রীরোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে ঠিক কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ? এই প্রশ্ন শুনে ড. রাইয়ের উত্তর, শুরুর দিকে সমস্যা হয় ৷ কারণ, মহিলারা এই ধরনের সমস্যা নিয়ে মহিলা চিকিৎসকের কাছেই যেতে চান ৷ পুরুষদের কাছে এই ধরনের সমস্যা সবিস্তারে বলতে দ্বিধা বোধ করেন ৷
এর পর ড. রাইয়ের সংযোজন, কিন্তু এখন সময় বদলেছে ৷ নারী শরীর সম্পর্কে যে শুধু নারীরাই বুঝবেন, এমনটা নয় ৷ চিকিৎসক তো একজন চিকিৎসক ৷ এখানে নারী বা পুরুষ, কোনও ভেদাভেদ নেই ৷
তবে কোনও পুরুষ চিকিৎসক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করলে কিছু নিয়ম বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হয় ৷ কী কী নিয়ম মানতে হয় চিকিৎকদের ৷ ড. হিমাংশু রাইয়ের কথায়, ‘‘একজন মহিলা নার্স রাখতে হয় ৷ তাছাড়া রোগী যদি নাবালিকা হয়, তাহলে মহিলা নার্সের পাশাপাশি পরিবারের একজন মহিলা সদস্যকে রাখতে হয় ৷’’
তবে এখনও কিছু প্রতিবন্ধকতা যে রয়ে গিয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন ওই চিকিৎসক ৷ তাঁর দাবি, দেশের মেট্রো শহরগুলির সঙ্গে বিহারের (Bihar) পার্থক্য় রয়েছে ৷ মুম্বই (Mumbai) ও দিল্লির (Delhi) মতো শহরে পুরুষ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেন না মহিলারা ৷ বিহারের মতো রাজ্যে মহিলারা সেই দ্বিধা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি ৷ এটা কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জের বিষয় ৷
সেই জায়গা থেকে বলা যায় যে বিহারে প্রায় ‘বিপ্লব’ ঘটিয়ে ফেলেছেন ড. রাই ৷ কারণ, একজন পুরুষ চিকিৎসক হিসেবে গত 25 ধরে তিনি স্ত্রীরোগের চিকিৎসা করছেন ৷ তাঁর কাছে দ্বিধা কাটিয়ে চিকিৎসকরাও আসছেন ৷
আরও পড়ুন: মেয়েদের এইসব শারীরিক সমস্যায় অবহেলা নয়, বলছেন স্ত্রীরোগ-বিশেষজ্ঞ