দিল্লি, 28 জানুয়ারি: দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানা থেকে আন্দোলন তুলতে কৃষকদের সময় বেঁধে দিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। বিক্ষোভে ইতি টেনে আজ রাতের মধ্যেই আন্দোলনস্থল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গাজিয়াবাদ প্রশাসন। তবে তা মানতে নারাজ বিক্ষোভরত কৃষকরা। কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইতের দাবি, প্রয়োজনে তাঁরা বুলেটবিদ্ধ হতেও তৈরি আছেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জোর করে বিক্ষোভ তুলতে এলে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
তিকাইত বলেছেন, ''শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পক্ষেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গাজিপুর সীমানায় কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। তা সত্ত্বেও সরকার দমন নীতি নিয়েছে। এটাই উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখ।'' প্রয়োজন হলে গ্রামাঞ্চল থেকে আরও লোক নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গাজিয়াবাদের জেলাশাসক ওই এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরও প্রচুর বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায়। গাজিপুর সীমানা দু'দিক দিয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সব আন্দোলনস্থল খালি করার জন্য সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন: শহিদ দিবসে অনশনের ডাক, ভাবমূর্তি উদ্ধারে তত্পর কৃষক নেতারা
26 নভেম্বর কৃষকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার দিন থেকেই সিল করে দেওয়া হয়েছে গাজিপুর সীমানা। মঙ্গলবার কৃষকরা ব্য়ারিকেড ভেঙে তাঁদের ট্র্যাক্টর মিছিল এগিয়ে নিয়ে যান। পুলিশ তাঁদের বাধা দিতে গেলে কয়েকটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভরত কৃষকদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। এরপর একদল কৃষক পুলিশের বাধা পেরিয়ে দিল্লিতে ঢুকে লালকেল্লার দখল নেন। যদিও এদিন লালকেল্লায় হিংসার ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিকাইত।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া অবস্থান নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।