নয়াদিল্লি, 24 অগস্ট : বয়ঃসন্ধিকালে (Puberty) পৌঁছানো মেয়েদের মুসিলম আইন (Muslim Laws) অনুযায়ী বিয়ে করার জন্য মা-বাবার অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না ৷ দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ মা-বাবার আপত্তি সত্ত্বেও বিয়ে করার পর একটি সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের ৷ সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির উচ্চ আদালত ৷
বিচারপতি যশমিত সিং এই নির্দেশে আরও জানিয়েছেন যে ওই মেয়েটির স্বামীর বাড়িতে থাকতে কোনও আইনি বাধা নেই ৷ এমনকী, এই ক্ষেত্রে মেয়েটি নাবালিকা হলেও স্বামীর বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইন লাগু করা যাবে না ৷ একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে যে কোনও মেয়ের ব্যক্তিগত পরিসরের সঙ্গে রাষ্ট্রের কোনও সম্পর্ক নেই ৷ সে নিজের ইচ্ছেতে বিয়ে করে সুখে থাকতেই পারে ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, চলতি বছরের মার্চের 5 তারিখ দিল্লির দ্বারকা জেলার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের হয় ৷ সেখানে এক দম্পতি দাবি করেন যে তাঁদের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে ৷ অভিযোগে পকসো-সহ একাধিক ধারা যোগ করে পুলিশ ৷
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে মেয়েটির বয়স 15 ৷ আর যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ছেলেটির বয়স 25 ৷ তাঁরা গত 11 মার্চ বিয়ে করেছেন ৷ পুলিশ গত 27 এপ্রিল মেয়েটিকে উদ্ধার করে ৷ তাকে শিশু সুরক্ষা কমিশনে (Child Welfare Commission) পেশ করা হয় ৷ ওই কমিশন মেয়েটিকে নির্মল ছায়া কমপ্লেক্সে রাখার নির্দেশ দেয় ৷
এদিকে নববিবাহিত ওই দম্পতি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সুরক্ষা চেয়ে ৷ মা-বাবা মেয়েটিকে নাবালিকা বলে দাবি করলেও মেয়েটির আইনজীবী আদালতে আধার কার্ড দিয়ে দাবি করে যে মেয়েটির বয়স 19 ৷ আর সে নিজের ইচ্ছেতেই বিয়ে করেছে ৷ এখন সে অন্তঃসত্ত্বা ৷ পাশাপাশি মেয়েটির দাবি, তার মা-বাবা তাকে মারধর করত ৷ অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ের জন্য দিতে জোর করছিল ৷
শুনানির শেষে গত 17 অগস্ট এই নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট ৷ যা সামনে আসে গত সোমবার ৷ নির্দেশে আদালত পুলিশকে ওই দম্পতির সুরক্ষার বিষয়টি দেখার কথা বলেছে ৷
আরও পড়ুন : বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ ? দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট, মামলা এবার সুপ্রিম দ্বারে