নয়াদিল্লি, 4 জানুয়ারি: দিল্লি হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র ৷ বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর অতিরিক্ত সময় সরকারি বাসভবনে থাকলে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছেই আবেদন করতে হবে মহুয়াকে ৷
এ দিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ একই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন, কিছু কিছু ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে কখনও কখনও সরকারি বাসভবনের বাসিন্দাকে অতিরিক্ত সময় থাকতে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে ৷ তাই বিচারপতি মহুয়াকে বলেন, ‘‘ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছে আবেদন করুন ও তারা নিশ্চয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে ৷’’
উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে লোকসভায় ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ ওঠে ৷ বিষয়টি যায় এথিক্স কমিটির কাছে ৷ ওই কমিটি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর মহুয়া মৈত্রর সাংসদ খারিজের সুপারিশ করে ৷ সাম্প্রতিক শীতকালীন অধিবেশনে সেই সুপারিশ ধ্বনি ভোটে পাশ হয় ৷ ফলে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় কৃষ্ণনগরের সাংসদকে ৷
এই বহিষ্কারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মহুয়া ৷ বুধবার সেই নিয়ে শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে ৷ সেখানে বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে লোকসভার সচিবালয়ের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত ৷ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী মার্চে ৷
এ দিকে সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর মহুয়া মৈত্রকে তাঁর সরকারি বাসভবন খালি করে দিতে নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকারের ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট ৷ গত 11 ডিসেম্বর মহুয়াকে ওই নোটিশ দেওয়া হয় ৷ সেই নোটিশের বিরুদ্ধে মহুয়া দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ তাঁর আরজি ছিল, হয় ওই নোটিশকে খারিজ করে দিতে হবে অথবা তাঁকে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ পর্যন্ত তাঁকে সেখানে থাকতে দিতে হবে ৷
আগের শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে ৷ কারণ, হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির বিষয়টি উল্লেখ করা হয় ৷ বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট মহুয়ার আরজি খারিজ করে দিল ৷ তাঁকে আদালত সংশ্লিষ্ট মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দিয়েছে ৷ একই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে যে কাউকে কোথাও থেকে উচ্ছেদ করতে হলে, আগে নোটিশ দিতে হয় ৷ আদালত আরও জানিয়েছে, বলা বাহুল্য যে সরকার আইন অনুযায়ী আবেদনকারীকে উচ্ছেদের বিষয়ে পদক্ষেপ করবে ৷
পিটিআই ইনপুট-সহ
আরও পড়ুন: