নয়াদিল্লি, 10 জানুয়ারি: সাতসকালে ক্রমাগত কেঁদে চলেছে এক শিশু ৷ ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ ৷ দীর্ঘক্ষণ ধরে শিশুর কান্না শুনে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের ৷ তাঁরা প্রথমে বাইরে থেকে শিশুর মা-বাবাকে ডাকেন ৷ কিন্তু সাড়া পাওয়া যায় না ৷ এর পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ পুলিশ গিয়ে দরজা ভাঙতেই বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর ছবি ৷ ঘরে ঢুকে পুলিশ দেখতে পায় যে ঘর ধোঁয়ায় ভরতি হয়ে আছে ৷ ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ বোধ করায় শিশুটি কাঁদছে ৷ ঘরেই অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তার মা-বাবা ৷
বুধবার সকালে এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজধানী নয়াদিল্লির দ্বারকা এলাকায় ৷ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ হাসপাতালে চিকিৎসকরা ওই দম্পতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ মাসদুয়েকের ওই শিশু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
দ্বারকা সেক্টর-23 র পোচনপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে ওই দম্পতির নাম মানব ও নেহা ৷ তাঁরা আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ৷ দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ সেই কারণে পোচনপুরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন ৷ বুধবার সকালে সেই ভাড়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় ওই দু’জনের মৃতদেহ ৷
ডিসিপি দ্বারকা এম হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে 9টা নাগাদ পিসিআর-এ ফোন আসে যে দ্বারকা এলাকায় একটি বন্ধ ঘরের ভিতর এক শিশুর কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৷ তার মা-বাবাকে অনেক ডাকাডাকি করেও পাওয়া যায়নি ৷ তার পরই পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে ৷
প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল ? প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, রাজধানী দিল্লিতে আজকাল প্রচণ্ড ঠান্ডা রয়েছে । সেই কারণে ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরে আগুন জ্বালাচ্ছেন ৷ তেমনভাবেই মানব ও নেহাও এমনটা করেছিলেন ৷ তার জেরেই পুরো ঘর ধোঁয়ায় ভরে যায় ৷ আর তাঁরা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান ৷ তবে কীভাবে মৃত্যু হল, তার জন্য পুলিশ আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা করছে ৷
আরও পড়ুন: