সিমলা ও নয়াদিল্লি, 13 জুলাই : বৃষ্টির দাপট কমলেও বেড়ে চলেছে ক্ষতির পরিমাণ । হিমাচল প্রদেশে গত চার দিনে অন্তত 39 জনের মৃত্যু হয়েছে । সবমিলিয়ে শুধু হিমাচলেই মৃতের সংখ্যা অন্তত 90 ৷ এখনও চলছে উদ্ধারকাজ ৷ হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশে বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ । বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুখু । এখনও পর্যন্ত মোট 50 হাজার পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে ।
মুখ্যমন্ত্রী সুখু সন্তোষ প্রকাশ করলেও, হিমাচলের সার্বিক ছবি একেবারেই সন্তোষজনক নয় । ভেঙে পড়ছে বাড়ি, সেতু, সড়ক । ভেসে যাচ্ছে গাড়ি । মানালিতে জাতীয় সড়কের ভেঙে পড়ার ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এসেছে । হিমাচলের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডেও বৃষ্টির কারণে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা । ধানৌরি, রুদ্রপ্রয়াগ, খানপুরে হলুদ সতর্কতা । রুরকি, লক্সর, ভগবানপুরে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা ।
বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডে চারধাম যাত্রা আপাতত স্থগিত । চামোলি জেলার বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক পুরোপুরি বন্ধ । যোশীমঠের পাঁচ এলাকা বৃষ্টিতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত । উত্তরাখণ্ডের অন্তত 300 সড়ক পুরোপুরি বন্ধ । যমুনত্রী জাতীয় সড়ক ও গঙ্গোত্রী রাজ্য সড়ক পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত । আইএমডি সূত্রের খবর, দেরাদুন, হরিদ্বারে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে ।
এদিকে, পঞ্জাব ও হরিয়ানায় বর্ষার জেরে বন্যাবিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা । গত পাঁচ দিনে মৃত্যু অন্তত পাঁচ জনের । দুই রাজ্যে মোট মৃত্যু 21 ৷ পঞ্জাবের পাটিয়ালা, রূপনগর, মোগা, লুধিয়ানা থেকে অন্তত 14 হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে । হিমাচল থেকে পঞ্জাব-হরিয়ানায় যখন উদ্বেগের ছবি । তখন অতিবৃষ্টিতে ভাসছে রাজধানী দিল্লিও । ফুঁসছে যমুনা ।
ইতিমধ্যেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনা নদী । একাধিক এলাকা বন্যার জলে ভাসছে। দিল্লির বেশ কয়েকটি জায়গায় পানীয় জলের সংকটের আশঙ্কা রয়েছে । নদীর জল বেড়েছে 208.48 মিটার । সবমিলিয়ে অতি বর্ষায় বিপর্যস্ত হিমাচল থেকে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে ।