জয়পুর, 21 জুন: 20 বছরের এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ উঠল রাজস্থানের বিকানেরে ৷ বুধবার আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, কোচিং ক্লাসে যাওয়ার পথে ওই তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ৷ দুই পুলিশকর্মী-সহ তিন ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে । অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে ।
আইজি ওম প্রকাশ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে খাজুওয়ালা এলাকায় 20 বছর বয়সি ওই তরুণীর দেহ পাওয়া গিয়েছে । এই ঘটনায় তরুণীর বাবা খাজুওয়ালা থানায় কনস্টেবল মনোজ ও ভগীরথ-সহ আরেক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করেছেন । পরিবারের সদস্যরা অন্য যুবকদের নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, যাঁদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ ৷ পুলিশ সুপার তেজস্বিনী গৌতম এই ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান । ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক টিমও ৷
এ দিকে, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে বুধবার খাজুওয়ালা ধর্ষণ ও হত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এই ঘটনার জন্য কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেছেন । টুইটারে তিনি বলেন, "বিকানেরের খাজুওয়ালায় এক দলিত মহিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার নিন্দা করছি ৷ যে পুলিশের কাঁধে মহিলাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব, সেই পুলিশই যদি এই ধরনের অপকর্মে অংশগ্রহণ করে, তাহলে এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না ।"
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী প্রতিদিন সকালে তাঁর কোচিং ক্লাসে যেতেন । মঙ্গলবারও, তিনি কোচিং ক্লাসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ৷ কিন্তু ফিরে আসেননি ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ মৃতার পরিবার । বিজেপি নেতারাও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে ধরনায় যোগ দেন । বিক্ষোভস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: 'আমার তখন 12, পিতৃস্নেহের অছিলায় কোলে বসিয়ে চুমু দিত নির্দেশক ! তারপর...'
ওই তরুণীর বাবা বলেন, তাঁর মেয়ে একটি কম্পিউটার সেন্টারে কোচিং করতে যেতেন । তিনি একটি ফোন পেয়ে জানতে পারেন যে, তাঁর মেয়ে আহত অবস্থায় খাজুওয়ালা হাসপাতালে রয়েছেন । সেখানে পৌঁছলে তাঁকে মেয়ের মৃত্যুর খবর জানানো হয় । তিনি অভিযোগ করেছেন যে, দুই অভিযুক্ত কনস্টেবলের সঙ্গে আরও একজন যুবক, যাঁর নাম দীনেশ, প্রতিদিন তাঁর মেয়েকে অনুসরণ করতেন । অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত না করে শুধু সাসপেন্ড করায় ক্ষুব্ধ মৃতার বাবা ৷ অন্যদিকে, পুলিশ বলছে, কোনও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁকে বরখাস্ত করা যেতে পারে ৷ পুরো বিষয়টি এসওজি (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) এর মাধ্যমে তদন্ত করার দাবি জানানো হয়েছে ।