নয়াদিল্লি, 29 সেপ্টেম্বর : গুলাবের প্রভাব কাটিয়ে ওঠার আগেই আরও এক ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন ৷ গুলাবের লেজ ধরে উৎপত্তি হতে চলেছে নতুন এই সাইক্লোন ৷ কাতার এই ঝড়ের নাম দিয়েছে শাহিন। যার প্রভাব পড়বে পশ্চিম উপকূলে ৷
শুক্রবার আরব সাগরে তৈরি হবে এই ঘূর্ণিঝড়। চলতি বছরে আরব সাগরে তৈরি হওয়া এটি দ্বিতীয় সাইক্লোন। এই বছরের মাঝামাঝি সাইক্লোন তখতের দাপটে বিপর্যস্ত হয়েছিল দেশের পশ্চিম উপকূল। যার প্রভাব পড়েছিল কোঙ্কন ও গুজরাত উপকূলে। ফের পশ্চিম ভারতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে চলেছে ৷ এবার শাহিনের দাপটে বিধস্ত হতে পারে পশ্চিম উপকূল। দুর্যোগের আশঙ্কায় ভারত মহাসাগরে 1 অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে সৌরাষ্ট্র, কোঙ্কন, উত্তর গুজরাত ও কচ্ছ এলাকায়।
বুধবার মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গুলাব অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল ধরে স্থলভাগ হয়ে তেলাঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের উপর দিয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার যা গভীর নিম্নচাপ হিসেবে দক্ষিণ গুজরাত উপকূলে অবস্থান করবে। শুক্রবারের মধ্যে সেই নিম্নচাপ উত্তর আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
আরও পড়ুন : ‘গুলাবি’ দাপটে জেরবার হায়দরাবাদ, দুর্যোগ চলবে তিনদিন
তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ হবে পাকিস্তান। যা মারকান উপকূল থেকে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ৷ ফলে ভারতীয় উপকূলে এর কোনও প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না-বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন ৷ তবে অতি বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হতে পারে সৌরাষ্ট্র ও গুজরাতের কচ্ছের জনজীবন। এছাড়াও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দমন, দিউ, দাদরা ও নগর হাভেলিতে ৷ অর্থাৎ বেশি প্রভাবিত হতে পারে উত্তর কোঙ্কন ৷
রবিবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর থেকেই শক্তি হারাতে শুরু করেছিল ঘূর্ণিঝড় গুলাব। মঙ্গলবার আরও শক্তি ক্ষয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে তেলাঙ্গানা, দক্ষিণ ছত্তিশগড় ও বিদর্ভ অঞ্চলের উপর দিয়ে আরব সাগরে প্রবেশ করে ফের একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ৷ 2018 সালের পর ফের এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেবার ভারতের পশ্চিম উপকূলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় গাজা তামিলনাড়ুর পুদুচেরি উপকূলে আছড়ে পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল ৷ একদিনের ব্যবধানে গাজা'র লেজ থেকে নতুন একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল।