নিউ দিল্লি, 16 মে : ভারতের নিজস্ব কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন কোভিড-19-এর বিরুদ্ধে লড়তে পারলেও, সম্প্রতি বি.1.617 ভ্যারিয়ান্টকে রুখতে খুব বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে না শরীরে ৷ এই স্ট্রেন মহারাষ্ট্রে প্রথম ধরা পড়ে ৷
পুণের আইসিএমআর-এর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি)-র বিজ্ঞানীরা করোনা সংক্রামিত রোগীদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ৷ এর পর সেগুলির উপর বি.1.1.7 (ব্রিটেনের ভ্যারিয়ান্ট), বি.1.351 (দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়ান্ট), পি2 (ব্রাজিল ভ্যারিয়ান্ট) এবং জানুয়ারিতে বি.1.617 ভ্যারিয়ান্টের পরীক্ষা চালানো হয় ৷ সম্প্রতি ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য মূলত দায়ী বি.1.617 ৷
আরো পড়ুন : এক সপ্তাহ বাড়ল দিল্লির লকডাউন
গত বছর এপ্রিলের শেষ দিকে করোনা ভাইরাসের প্রথম ভ্যারিয়ান্ট বি1-এর উপর পরীক্ষা চালিয়ে তৈরি হয় দেশি দুটি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন ৷
এই ভাইরাসের বি.1.617 ভ্যারিয়ান্টে ক্ষেত্রে বি1 ভ্যারিয়ান্টের তুলনায় 55 শতাংশ কম অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ, জানিয়েছেন এনআইভি-র বিজ্ঞানীরা ৷ কোভিশিল্ড বি.1.617 ভ্যারিয়ান্টকে আটকাতে মাত্র 21.9% অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারছে, কিন্তু বি1-এর বিরুদ্ধে তা ছিল 42.29 শতাংশ, মানে প্রায় অর্ধেক ৷
আইসিএমআর-এর এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ সমীরণ পাণ্ডা বলেন, "বি.1.617-এর ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন প্রায় একইরকম রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাসম্পন্ন ৷"
যদিও বহু বিজ্ঞানী মনে করছেন এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই ৷ সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (সিসিএমবি)র প্রাক্তন ডিরেক্টর রাকেশ মিশ্র বলেন, "যদি এই হ্রাস 10 গুণ বা তার চেয়েও বেশি কম হলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ হত ৷ কিন্তু নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ল্যাবরেটরির পরীক্ষার ফলাফল নানা রকম হতে পারে ৷"