মোরাদাবাদ (উত্তরপ্রদেশ), 3 নভেম্বর: একে 47 রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করলেন কনস্টেবল ৷ কারণ জানলে অবাক না হয়ে উপায় নেই ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, তাঁর স্ত্রী করবা চৌথের উপবাস করেননি ৷ এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া হয় ৷ তাতেই এই কাণ্ড ঘটান কনস্টেবল অজিত কুমার ৷ তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা আছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মুজফফরনগরের শিখেদা থানা এলাকার মগপুর গ্রামের বাসিন্দা হেড কনস্টেবল পবন কুমারের পরিবারে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তাঁর বড় ছেলে অজিতও কনস্টেবল ৷ সাত মাস আগে মোরাদাবাদ পুলিশ লাইনসে পোস্টিং হয় তাঁর ৷ সেখানকার নাগফানি থানা এলাকার শিববিহার কলোনির রাকেশ কুমার বর্মার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন অজিত ৷ সেখানেই তিনি এই কাণ্ড ঘটান। বাবা পবন কুমার জানান, দেড় বছর আগে বাগপতের বাসিন্দা চঞ্চল নামে এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় অজিতের ৷ খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে দু'জনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত ৷ যার জেরে চঞ্চল 9 মাস বাপের বাড়িতে ছিলেন ৷ পরে ফিরে আসেন।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত 11টা নাগাদ কাজ সেরে ভাড়া বাড়িতে পৌঁছন অজিত ৷ বাড়ি ফিরে এসে অজিত স্ত্রীর সঙ্গে ফোন কথা বলছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনা সম্পর্কে সিটি পুলিশ সুপার অখিলেশ ভাদৌরিয়া বলেন, "তদন্তে দেখা গিয়েছে যে অজিত তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন ৷ আমাদের অনুমান, সেখানেই তিনি জানতে পারেন স্ত্রী করবা চৌথের উপবাস করেননি ৷ এই নিয়ে ফোনে দু'জনের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয় ৷ এরপরই অজিত একে 47 থেকে নিজেকে গুলি করেন ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷"
গুলির শব্দ শুনে বাড়ির মালিক রাকেশ কুমার বর্মার পরিবারের সদস্যরা ভয়ে উপর তলায় চলে যান । সেই সময় অজিতের ঘর ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ৷ পরে জানালা দিয়ে উঁকি দিতেই তাঁরা দেখেন অজিতের শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে ৷ দ্রুত খবর দেন পুলিশে ৷ ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মোরাদাবাদ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। শুরু হয় তদন্ত। ঘটনাস্থলে আসেন এসএসপি হেমরাজ মীনা ও এসপি সিটি অখিলেশ ভাদৌরিয়া। আরও পরে ফরেনসিক দলকেও খবর দেওয়া হয় ৷ ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ অজিতের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেয় ।
আরও পড়ুন : করবা চৌথ পালন করলে মৃত্যু হবে স্বামীর! 250 বছর ধরে এমনই বিশ্বাস মথুরার গ্রামে