নয়াদিল্লি, 27 ডিসেম্বর: লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও দেশজুড়ে পদযাত্রা করতে চলেছে কংগ্রেস। দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রার 'সাফল্য' থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই 'ভারত ন্যায় যাত্রা'র আয়োজন করা হচ্ছে বলে বুধবার সকালে জানালেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে কে বেণুগোপাল। 14 জানুয়ারি মণিপুর থেকে শুরু হয়ে 20 মার্চ মুম্বইয়ে যাত্রা শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। পশ্চ মোট 14টি রাজ্যের 6 হাজার 200 কিমি রাস্তা অতিক্রম করবে যাত্রা। যাত্রায় দেশের তরুণ থেকে শুরু করে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলবেন রাহুল।
কংগ্রেস জানিয়েছে, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার,ঝাড়খণ্ড,ওড়িশা, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত হয়ে মহারাষ্ট্রে যাত্রা পৌঁছবে। এই 14টি রাজ্যের 85টি জেলার উপর দিয়ে যাবে যাত্রা। তবে গতবারের যাত্রার থেকে এবারের যাত্রা কিছুটা হলেও আলাদা। গতবার বেশিরভাগ রাস্তাই হেঁটেছিলেন রাহুল-সহ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। এবার বাসেই বেশিরভাগ রাস্তা অতিক্রম করবেন রাহুলরা। তবে কোনও কোনও জায়গায় তাঁদের হাঁটতেও দেখা যাবে।
বেণুগোপাল জানান, 21 ডিসেম্বর কংগ্রেস কর্মীরাই রাহুলকে দেশের পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত যাত্রা করতে অনুরোধ করেন। তারপরই যাত্রার সিদ্ধান্ত নেন সাংসদ। জানা গিয়েছে, পতাকা নেড়ে যাত্রার সূচনা করবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ঠিক ওই সময় দেশে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। সেদিক থেকে এই যাত্রা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। এই 14টির মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ ক্ষমতায় আছে। সেখানে ভোট বাড়ানোই লক্ষ্য কংগ্রেসের।
এর আগে 130 দিন ধরে ভারত জোড়ো যাত্রা করেছিল কংগ্রেস। সেবার 12টি রাজ্যের 3 হাজার 970 কিমি রাস্তা অতিক্রম করে যাত্রা। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করে, এই যাত্রার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল কর্ণাটক এবং হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনের উপর। শুধু কর্ণাটকেই 22 দিন ধরে যাত্রা। তার সুফল পায় কংগ্রেস। বড় ব্যবধানে বিজেপকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। হিমাচলেও যাত্রার প্রভাব পড়েছিল। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও ভোটারদের কাছে পৌঁছে যেতে যাত্রার আয়োজন করছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: