জগদলপুর, 3 অক্টোবর: জনসংখ্যা অনুযায়ী অধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ তাঁর এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই তাঁর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পালটা আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ মঙ্গলবার তিনি বলেন, জনসংখ্যার অনুপাতে অধিকার দেওয়া যেতে পারে কি না তা স্পষ্ট করা উচিত কংগ্রেসের ৷ আর এ ভাবে তারা মুসলমানদের অধিকার খর্ব করতে চাইছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন নমো ৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, দেশের সম্পদের উপর দরিদ্রদের প্রথম অধিকার ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-ও বলেছিলেন দেশের সম্পদের উপর সংখ্যালঘুদের প্রথম অধিকার রয়েছে । ভোটমুখী ছত্তিশগড়ের জগদলপুরে বিজেপির 'পরিবর্তন মহাসংকল্প' সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদির প্রশ্ন,
"প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কী ভাবতেন ? মনমোহন সিং-জি বলতেন দেশের সম্পদের উপর সংখ্যালঘুদের প্রথম অধিকার এবং সম্পদের উপর মুসলমানদের প্রথম অধিকার ৷ কিন্তু এখন কংগ্রেস বলছে, জনসংখ্যাই ঠিক করবে কে কীভাবে পাবে অধিকারের অনেক অংশ । তাঁরা কি মুসলমানদের অধিকার খর্ব করতে চায় ?"
প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, "কাদের জনসংখ্যা বেশি ? জনসংখ্যা অনুসারে অধিকার নিশ্চিত করা কি সম্ভব হবে? হিন্দুদের কি সমস্ত অধিকার পাওয়া উচিত ? কংগ্রেসের উচিত জনসংখ্যা অনুযায়ী অধিকার দেওয়া হবে কি না তা স্পষ্ট করা । কংগ্রেস কি সংখ্যালঘুদের অপসারণ করতে চায় ?"
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি কোনা উন্নত হলে বিকশিত ভারতের সপ্ন সফল হবে, মত প্রধানমন্ত্রী মোদির
নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন বিহার সরকার একটি জাতিগত সমীক্ষা প্রকাশ করার একদিন পরে রাহুল বিবৃতি দিয়ে বলেন যে, ওবিসি এবং ইবিসি রাজ্যের মোট জনসংখ্যার 63 শতাংশ । রাহুল গান্ধি বিহারের জাতিগত সমীক্ষাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন যে, দেশে জনসংখ্যা অনুযায়ী জনগণকে তাঁদের ন্যায্য অধিকার দেওয়ার জন্য জাতিভিত্তিক আদমশুমারি প্রয়োজন ।
প্রধানমন্ত্রী মোদি রাহুলের এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আরও অভিযোগ করেন যে, কংগ্রেস অন্য কোনও দেশের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা আনন্দ পায় ৷ এ প্রসঙ্গে জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি আরও বলেন যে, দলের নেতারা কংগ্রেস চালান না, পর্দার আড়ালে কয়েকজন আছেন, যাঁরা দেশবিরোধী শক্তির জোটবদ্ধ হয়ে পরিচালিত হন, তাঁরাই দল চালান ।
মোদির কথায়, "কংগ্রেস বলছে মানুষের 'আবাদি' (জনসংখ্যা) অধিকারের (সম্পদের উপর) বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, কিন্তু মোদির কাছে, দরিদ্র মানুষই দেশের সবচেয়ে বড় আবাদি এবং সম্পদের উপর তাঁদের প্রথম অধিকার রয়েছে । দরিদ্রদের কল্যাণ আমার লক্ষ্য ৷"