নুহ (হরিয়ানা), 15 সেপ্টেম্বর: নুহের হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস ফিরোজপুর ঝিরকার বিধায়ক মামন খান ৷ শুক্রবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানার নুহে সংঘর্ষের ঘটনায় মদত জোগানোর অভিযোগ রয়েছে এই কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে ৷ তাঁকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় ৷
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, স্থানীয় ডিএসপি সতীশ কুমার কংগ্রেস বিধায়কের গ্রেফতারির খবরটি নিশ্চিত করেছেন ৷ তাঁর নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট নুহে সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত করছে ৷ নুহের প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক আফতাব আহমেদও মামন খানের গ্রেফতারির খবরটি নিশ্চিত করেছেন ৷ হরিয়ানা বিধানসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় উপ-নেতা বলেন,"পুলিশ আমাদের জানিয়েছে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷" আগেই হরিয়ানার নুহে হিংসার ঘটনায় মামন খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ৷
আরও পড়ুন: নুহ হিংসায় কংগ্রেস বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতার আরও 14 জন
এফআইআর দায়ের হওয়ার পর মামন খান পুলিশি গ্রেফতারি এড়াতে আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ পুলিশ যেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা না-নিতে পারে তার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা ৷ 14 সেপ্টেম্বর হরিয়ানা সরকার আদালতে জানায়, পুলিশের কাছে কংগ্রেস বিধায়ক মামন খানের নুহ সংঘর্ষে মদত জোগানোর সপক্ষে ফোন রেকর্ডিং আছে ৷ এছাড়া আরও প্রমাণ রয়েছে ৷ এরপর আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ মামন খানকে নিম্ন আদালতে আবেদন করতে বলা হয় ৷
বৃহস্পতিবার রাতে নাগিনা থানা এলাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে ৷ বিজেপি শাসিত হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ-সহ বহু বিজেপি নেতাই মামন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ৷ তাঁদের দাবি, মামন হিংসার ঘটনায় মদত জুগিয়েছেন ৷ গত 31 জুলাই হরিয়ানার নুহতে একটি মিছিলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ এর ফলে একের পর এক গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৷ মৃত্যু হয় কমপক্ষে ছ'জনের ৷ এই ঘটনার তদন্ত করছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা এসআইটি ৷ তদন্তকারী আধিকারিকরা কংগ্রেস বিধায়ক মাম্মানকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে দু-দু'বার নোটিশ পাঠিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: 13 দিন পর ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হল হিংসা বিধ্বস্ত নুহতে
তবে কংগ্রেস বিধায়ক শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি ৷ এরপরই মামন খান হাইকোর্টে এই মামলাটি সিটের কাছ থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করার আবেদন জানান ৷ এছাড়াও তিনি পুলিশি গ্রেফতারি এড়াতে রক্ষাকবচের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ তবে 14 সেপ্টেম্বর আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ মাম্মান খানকে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে বলা হয় ৷ এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এই ঘটনায় বিট্টি বজরঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ তবে তিনি এখন জামিনে মুক্ত ৷