ETV Bharat / bharat

তেলেঙ্গানার ভোট প্রচারে ছোট ছোট জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছনোর উপর জোর দিচ্ছে কংগ্রেস

Congress Micromanaging Telangana Campaign: 30 নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন তেলেঙ্গানায় ৷ প্রচারে ও প্রতিশ্রুতির কথা পৌঁছে দিতে জোর দিচ্ছে কংগ্রেস ৷ লিখলেন ইটিভি ভারতের অমিত অগ্নিহোত্রী ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 20, 2023, 8:40 PM IST

নয়াদিল্লি, 20 নভেম্বর: তেলেঙ্গানার ক্ষমতা দখলে এবার মরিয়া কংগ্রেস ৷ সেই লক্ষ্যে এবার এই দল মন দিয়েছে ছোট ছোট গোষ্ঠীর মধ্যে গিয়ে প্রচারে, যাকে বলা হচ্ছে প্রচারের মাইক্রো ম্যানেজিং ৷ বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ও সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে গিয়ে তাদেরর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছে কংগ্রেস ৷ 119 আসন বিশিষ্ট তেলেঙ্গানা বিধানসভায় আগামী 30 নভেম্বর নির্বাচন, ফল ঘোষণা 3 ডিসেম্বর ৷

2013 সালে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা তৈরি হওয়ার পর থেকে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারেনি কংগ্রেস ৷ টানা এতবছর রাজ্যে ক্ষমতায় থাকায় ক্ষমতাসীন বিআরএস এর বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ৷ প্রচারে নিজেদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরার পাশাপাশি, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন বিআরএস-এর ব্যর্থতাও তুলে ধরছে কংগ্রেস ৷

তাঁদের প্রচার প্রসঙ্গে ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বলেছেন এআইসিসি সেক্রেটারি বিএম সন্দীপ কুমার ৷ তিনি বলেন, "আমরা মাইক্রো-ম্যানেজমেন্ট শুরু করেছি, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কমিউনিটির কাছে পৌঁছে যাওয়া, বুথ ম্যানেজমেন্ট এবং দলের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত গ্যারান্টি কার্ড বিতরণ করা । অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে ছোট ছোট কর্নার মিটিং শুরু করেছি । এই ধরনের আলোচনা চলাকালীন আমরা তাদের কাছে দলের প্রতিশ্রুতি ব্যাখ্যা করছি এবং তাদের সমর্থন চাইছি । এটি প্রচারের একটি প্রভাবশালী উপায় ৷"

দলের বিভিন্ন নেতার মতে, কাম্মা, কাপা, এসসি, এসটি, মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের পাশাপাশি উচ্চবর্ণের রেড্ডির মতো ওবিসিদের কাছেও তাঁদের বার্তা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা । সম্প্রতি, প্রাক্তন প্রজা রাজ্যম পার্টির নেতা ডক্টর পি বিনয় কুমার তাঁর দলকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন ৷ মাদিকা সম্প্রদায়ের একজন প্রভাবশালী প্রাক্তন সাংসদও শতাব্দী প্রাচীন এই দলে যোগ দিয়েছেন৷

কংগ্রেস খ্রিস্টানদের পাশাপাশি রাজ্যের 13 শতাংশ মুসলিম ভোটকেও আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং গত সপ্তাহে সেকেন্দ্রাবাদ, কালওয়াকুর্থি এবং শাদনগর এলাকায় বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু সম্মেলন করেছে তারা । “মুসলিম এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের চাহিদার প্রতি কংগ্রেসের নজর রয়েছে, সেই মতো প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছে ৷ বিআরএস শুধুমাত্র মুখেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য উন্নয়নের কথা বলে,” দাবি তেলেঙ্গানার দায়িত্বে থাকা এআইসিসি সেক্রেটারি মনসুর খানের ।

এআইসিসি এর সংখ্যালঘু বিভাগের চেয়ারম্যান ইমরান প্রতাপগড়িও যুব সমাজের ভবিষ্যত এবং তাদের শিক্ষাগত ও আর্থিক উন্নতির প্রয়োজনীয়তার কথা বলে এই সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করার জন্য রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত আসন জুড়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন । তাঁর কথায়,“আমি ভোটারদের আহ্বান জানাই, যারা ধর্মকে রাজনীতির জন্য ব্যবহার করে তাদের সমর্থন করবেন না । বিআরএস এবং এআইএমআইএম পরস্পরের সহযোগী ৷”

তেলেঙ্গানা নির্বাচনের প্রচারে গুরুত্ব দিয়ে কংগ্রেস প্রতিবেশী রাজ্য কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রের নেতাদেরও এখানে পাঠিয়েছে ৷ এর মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বান, যিনি গত দুদিন ধরে খানাপুর এবং নিজামবাদ এলাকায় প্রচার করছেন ৷ এখানে কর্ণাটকের মন্ত্রী দিনেশ গুন্ডু রাও প্রচারে অংশ নিয়েছেন ৷

দিনেশ গুন্ডু রাওয়ের কথায়, “রাহুল গান্ধির এখানে প্রচারে আসা আমাদের মনোবলকে বাড়িয়েছে ৷ সারা তেলেঙ্গানাজুড়ে উৎসাহ ও আশা দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ৷ আমরা আত্মবিশ্বাসী যে কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে এই বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করবে এবং সরকার গঠন করতে কমপক্ষে 75টি আসনে জয়ী হবে । তেলেঙ্গানার জন্য কংগ্রেস যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছে তা কর্ণাটকে দেওয়া আমাদের প্রতিশ্রুতির সাফল্য দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি পরিকল্পনা ৷ এগুলো নিছক প্রতিশ্রুতি নয়, বরং সমৃদ্ধ সোনালী তেলেঙ্গানার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ।"

আরও পড়ুন:

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে জামিন দিল অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট

মানহানি মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন রাঘব চাড্ডার

নয়াদিল্লি, 20 নভেম্বর: তেলেঙ্গানার ক্ষমতা দখলে এবার মরিয়া কংগ্রেস ৷ সেই লক্ষ্যে এবার এই দল মন দিয়েছে ছোট ছোট গোষ্ঠীর মধ্যে গিয়ে প্রচারে, যাকে বলা হচ্ছে প্রচারের মাইক্রো ম্যানেজিং ৷ বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ও সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে গিয়ে তাদেরর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছে কংগ্রেস ৷ 119 আসন বিশিষ্ট তেলেঙ্গানা বিধানসভায় আগামী 30 নভেম্বর নির্বাচন, ফল ঘোষণা 3 ডিসেম্বর ৷

2013 সালে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা তৈরি হওয়ার পর থেকে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারেনি কংগ্রেস ৷ টানা এতবছর রাজ্যে ক্ষমতায় থাকায় ক্ষমতাসীন বিআরএস এর বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ৷ প্রচারে নিজেদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরার পাশাপাশি, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন বিআরএস-এর ব্যর্থতাও তুলে ধরছে কংগ্রেস ৷

তাঁদের প্রচার প্রসঙ্গে ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বলেছেন এআইসিসি সেক্রেটারি বিএম সন্দীপ কুমার ৷ তিনি বলেন, "আমরা মাইক্রো-ম্যানেজমেন্ট শুরু করেছি, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কমিউনিটির কাছে পৌঁছে যাওয়া, বুথ ম্যানেজমেন্ট এবং দলের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত গ্যারান্টি কার্ড বিতরণ করা । অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে ছোট ছোট কর্নার মিটিং শুরু করেছি । এই ধরনের আলোচনা চলাকালীন আমরা তাদের কাছে দলের প্রতিশ্রুতি ব্যাখ্যা করছি এবং তাদের সমর্থন চাইছি । এটি প্রচারের একটি প্রভাবশালী উপায় ৷"

দলের বিভিন্ন নেতার মতে, কাম্মা, কাপা, এসসি, এসটি, মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের পাশাপাশি উচ্চবর্ণের রেড্ডির মতো ওবিসিদের কাছেও তাঁদের বার্তা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা । সম্প্রতি, প্রাক্তন প্রজা রাজ্যম পার্টির নেতা ডক্টর পি বিনয় কুমার তাঁর দলকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন ৷ মাদিকা সম্প্রদায়ের একজন প্রভাবশালী প্রাক্তন সাংসদও শতাব্দী প্রাচীন এই দলে যোগ দিয়েছেন৷

কংগ্রেস খ্রিস্টানদের পাশাপাশি রাজ্যের 13 শতাংশ মুসলিম ভোটকেও আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং গত সপ্তাহে সেকেন্দ্রাবাদ, কালওয়াকুর্থি এবং শাদনগর এলাকায় বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু সম্মেলন করেছে তারা । “মুসলিম এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের চাহিদার প্রতি কংগ্রেসের নজর রয়েছে, সেই মতো প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছে ৷ বিআরএস শুধুমাত্র মুখেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য উন্নয়নের কথা বলে,” দাবি তেলেঙ্গানার দায়িত্বে থাকা এআইসিসি সেক্রেটারি মনসুর খানের ।

এআইসিসি এর সংখ্যালঘু বিভাগের চেয়ারম্যান ইমরান প্রতাপগড়িও যুব সমাজের ভবিষ্যত এবং তাদের শিক্ষাগত ও আর্থিক উন্নতির প্রয়োজনীয়তার কথা বলে এই সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করার জন্য রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত আসন জুড়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন । তাঁর কথায়,“আমি ভোটারদের আহ্বান জানাই, যারা ধর্মকে রাজনীতির জন্য ব্যবহার করে তাদের সমর্থন করবেন না । বিআরএস এবং এআইএমআইএম পরস্পরের সহযোগী ৷”

তেলেঙ্গানা নির্বাচনের প্রচারে গুরুত্ব দিয়ে কংগ্রেস প্রতিবেশী রাজ্য কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রের নেতাদেরও এখানে পাঠিয়েছে ৷ এর মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বান, যিনি গত দুদিন ধরে খানাপুর এবং নিজামবাদ এলাকায় প্রচার করছেন ৷ এখানে কর্ণাটকের মন্ত্রী দিনেশ গুন্ডু রাও প্রচারে অংশ নিয়েছেন ৷

দিনেশ গুন্ডু রাওয়ের কথায়, “রাহুল গান্ধির এখানে প্রচারে আসা আমাদের মনোবলকে বাড়িয়েছে ৷ সারা তেলেঙ্গানাজুড়ে উৎসাহ ও আশা দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ৷ আমরা আত্মবিশ্বাসী যে কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে এই বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করবে এবং সরকার গঠন করতে কমপক্ষে 75টি আসনে জয়ী হবে । তেলেঙ্গানার জন্য কংগ্রেস যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছে তা কর্ণাটকে দেওয়া আমাদের প্রতিশ্রুতির সাফল্য দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি পরিকল্পনা ৷ এগুলো নিছক প্রতিশ্রুতি নয়, বরং সমৃদ্ধ সোনালী তেলেঙ্গানার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ।"

আরও পড়ুন:

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে জামিন দিল অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট

মানহানি মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন রাঘব চাড্ডার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.