নয়াদিল্লি, 9 জুন : উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আর বাকি সাত-আট মাস ৷ তার আগে ওই রাজ্যে কংগ্রেসকে (Congress) ধাক্কা দিল বিজেপি (BJP) ৷ ওই রাজ্যের অন্যতম কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদ (Jitin Prasada) যোগদান করলেন বিজেপিতে ৷ বুধবার বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে তিনি গেরুয়া শিবিরের অংশীদার হলেন ৷
এদিন প্রথমে তিনি হাজির হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বাড়িতে ৷ তার পর তিনি বিজেপির সদর দফতরে যান ৷ সেখানে তিনি পীযূষ গয়ালের হাত ধরে বিজেপির সদস্য পদ নেন ৷
উল্লেখ্য, ইউপিএ জমানায় কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন এই কংগ্রেস নেতা ৷ তাছাড়া 47 বছরের এই নেতা রাহুল গান্ধির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ৷ কিন্তু সম্প্রতি কংগ্রেসের জি-23 তে চলে এসেছিলেন তিনি ৷ জি-23 আসলে কংগ্রেসের সেই 23 জন নেতার গোষ্ঠী, যাঁরা একসঙ্গে কংগ্রেসে স্থায়ী সভাপতির দাবি তুলে সোনিয়া গান্ধিকে চিঠি লিখেছিলেন ৷
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন শুভেন্দু অধিকারী
ফলে দলের সঙ্গে যে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, সেটা তখন থেকেই স্পষ্ট হচ্ছিল ৷ এবার তিনি সরাসরি রাহুল-সোনিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগ দিলেন বিজেপিতে ৷
গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর তিনি জানান, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর তিন প্রজন্মের সম্পর্ক ৷ তাই অনেক ভেবেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ গত 8-10 বছর ধরে তাঁর মনে হয়েছে যে বিজেপিই একমাত্র জাতীয় দল ৷ বাকিরা আঞ্চলিক দল ৷ তিনি মনে করেন, দেশের ভালোর জন্য একমাত্র বিজেপি ও দলের নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই কাজ করছেন ৷
কেন তিনি কংগ্রেস ছাড়লেন, সেই ব্যাখ্যও এদিন দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের এই ব্রাহ্মণ নেতা ৷ তাঁর বক্তব্য, যে দলে মানুষের অধিকার রক্ষার কথা বলা যায় না ৷ মানুষের জন্য কাজ করা যায় না ৷ সেখানে থাকার কোনও মানে নেই ৷ তবে কংগ্রেসে থাকাকালীন যাঁদের আশীর্বাদ তিনি পেয়েছেন, তাঁদের প্রতি এদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জিতিন ৷
আরও পড়ুন : শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এর আগে রাহুল গান্ধির অন্যতম ঘনিষ্ঠ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন ৷ তার পর জিতিন এলেন বিজেপিতে ৷ অন্যদিকে রাজস্থানের আরেক রাহুল ঘনিষ্ঠ নেতা শচীন পাইলট আবার বেসুরো হতে শুরু করেছেন ৷ এর আগে একদফা তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন ৷ তখন কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দেয় কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব ৷ তাই জিতিনের বিজেপি যোগের পর প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে কি এবার শচীনও বিজেপির পথে পা বাড়াবে ?
তাছাড়া পঞ্জাবেও কংগ্রেসের অন্দরে সংকট তৈরি হয়েছে ৷ তার মধ্যেই উত্তর প্রদেশে এই ভাঙন ৷ সব মিলিয়ে আগামী বছরের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভার লড়াইয়ের আগে ফের ব্যাকফুটে যেতে শুরু করেছে কংগ্রেস ৷ এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ৷
আরও পড়ুন : অপহরণ থেকে সম্পর্ক, মেহুলকে নিয়ে মুখ খুললেন "গার্লফ্রেন্ড"