ইম্ফল, 16 জুন: কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার পর ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর । বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিংয়ের বাড়ি আক্রমণ করে উন্মত্ত জনতা । চারদিক থেকে ঘিরে ধরে পেট্রল বোমা মেরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মন্ত্রীর বাড়ি । ঘটনার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইম্ফল । অন্যদিকে, ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে কংগ্রেস । কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কখন হিংসা-বিধ্বস্ত রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন এবং শান্তির জন্য আবেদন করবেন ?
শুক্রবার সন্ধ্যাতেও মণিপুরে মোতায়েন বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দাঙ্গাবাজ জনতার দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় । একটি গুদামে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা । পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে একাধিক কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় । পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইম্ফল প্রাসাদ মাঠের কাছে দাঙ্গায় মদত দেয় একদল দুষ্কৃতী । একটি গুদামে আগুন লাগানো হলেও, পুলিশের দাবি এরও বেশ কয়েকটি সরকারি সম্পত্তি লক্ষ্য ছিল দুষ্কৃতীদের । দমকল ও নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । দমকলের দাবি, আশপাশের বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়েছে তারা ।
আরও পড়ুন: দশমের ছাত্রের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে খুনে অভিযুক্ত বন্ধুরা
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্পত্তিটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারের। কংগ্রেস এদিন মণিপুরের 'ডবল ইঞ্জিন' বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে । কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম বলেন, "কর্ণাটকে ডবল-ইঞ্জিন সরকারের ফর্মুলা ব্যর্থ হয়েছে । বিজেপিকে দক্ষিণ ভারতের লোক দরজা দেখিয়ে দিয়েছে । কিন্তু ডবল-ইঞ্জিনের সরকার মণিপুরে জনগণকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ।" একই সঙ্গে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেন, "একটি রাজ্যের ইঞ্জিনের জ্বালানি শেষ হয়ে গিয়েছে। অন্য ইঞ্জিনটি (কেন্দ্র) নিজেকে শেডের মধ্যে লুকিয়ে ফেলেছে। এটা স্পষ্ট যে মুখ্যমন্ত্রী মণিপুরের জনগণের সমস্ত অংশের আস্থা হারিয়েছেন। এটাও স্পষ্ট যে নরেন্দ্র মোদি মণিপুরের জনগণের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক নন । এমনকী শান্তির জন্য আবেদনও করতে চান না ।” ইতিমধ্যে কংগ্রেসের তরফে টুইট করে 'প্রধানমন্ত্রী নিরুদ্দেশ' পোস্টারের ছবি দেওয়া হয় ।