ETV Bharat / bharat

সোনার কেল্লার দেশে উটে চড়ে পড়ুয়াদের বাড়িতে গুরুমশাই - বারমের

রাজস্থান সরকারের 'আও ঘর মে শিখে' প্রকল্প সেই সব দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য, যাদের মোবাইল নেই ৷ কিংবা মোবাইল থাকলেও এমন অঞ্চলের বাসিন্দা তারা, যে দূর মরুভূমি, রুক্ষ পাহাড়ের ঠিকানায় ইন্টারনেট আজও রূপকথা ৷ যেমন বারমের-এর মরুভূমির ভেতরের বেশ কয়েকটি গ্রাম ৷ যেখানে আজও অবধি সড়কপথ নেই ৷ উটে সওয়ার হয়ে মরুভূমি ডিঙিয়ে যাতায়াতই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ৷ এমন দিকশূন্যপুরের, হলুদ বালির গ্রামের পড়ুয়ারা ফের পঠনপাঠনের স্বাদ পেতে শুরু করেছে গত 20 জুন থেকে ৷

s
s
author img

By

Published : Jul 11, 2021, 7:05 PM IST

বারমের, 11 জুলাই : সোনার কেল্লার মুকুল পূর্বজন্মে পড়াশোনা করত কি-না, স্কুলে যেত কি-না তা জানা যায় না ৷ কিন্তু মহামারি পরিস্থিতিতে রাজস্থানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুকুলের বয়সি ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বাস্তবিক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ যেহেতু অনলাইনে ক্লাসের সুবিধা নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না ৷ সুখের কথা, গত 20 জুন থেকে রাজস্থান সরকারের শিক্ষা দফতরের বিশেষ প্রকল্পে ফের বই-খাতা-পেনের দেশে ফিরেছে ছেলেমেয়েরা ৷ তবে কি-না এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে জটায়ুর মতো উটে চড়ায় অপটু হলে চলবে না ৷ শিক্ষকদের রীতিমতো উটে চড়া শিখতে হচ্ছে ৷ সহ্য করতে হচ্ছে প্রখর রোদ আর বালির গরম ৷ এমনকী মরুঝড়ের আতিথেয়তার জন্য তৈরি থাকাও ভাল ৷ কেন ?

কারণ রাজস্থান সরকারের 'আও ঘর মে শিখে' প্রকল্প সেই সব দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য, যাদের মোবাইল নেই ৷ কিংবা মোবাইল থাকলেও এমন অঞ্চলের বাসিন্দা তারা, যে দূর মরুভূমি, রুক্ষ পাহাড়ের ঠিকানায় ইন্টারনেট আজও রূপকথা ৷ যেমন বারমের-এর মরুভূমির ভেতরের বেশ কয়েকটি গ্রাম ৷ যেখানে আজও অবধি যাকে বলে সড়কপথ তা নেই ৷ উটে সওয়ার হয়ে মরুভূমি ডিঙিয়ে যাতায়াতই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ৷ এমন দিকশূন্যপুরের, হলুদ বালির গ্রামের পড়ুয়ারা ফের পঠনপাঠনের স্বাদ পেতে শুরু করেছে 20 জুন থেকে ৷ প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি অবধি সপ্তাহে একদিন ও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে সপ্তাহে দু'দিন ছেলেমেয়েদের বাড়িতে গিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন মাস্টারমশাইরা ৷ শনিবার একটি সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত ভিডিয়োয় দেখা গেল, গুরুমশাইরা উটের পিঠে সওয়ার ৷ মরুভূমি ডিঙিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ঘরে ঘরে গিয়ে পড়াশোনা শেখাতে চলেছেন ৷ দেখা গেল শিক্ষককে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে গ্রাম ৷ তারপর গ্রামে পৌঁছালে গাছের ছায়ায় হচ্ছে পড়াশুনো ৷ ছাত্ররা ভীষণ খুশি ৷

s
উটে সওয়ার শিক্ষকদের অভ্যর্থনা গ্রামবাসীর

এক ছাত্রর কথায়, "আমাদের এখানে ইন্টারনেট নেই ৷ আমরা পড়াশুনো করতে পারছিলাম না ৷ গুরুমশাই উটে চড়ে আমাদের পড়াতে এসেছেন ৷ ধন্যবাদ তাঁকে ৷"

s
উটে চড়ে মরুভূমি ডিঙিয়ে ছাত্র পড়াতে চলেছেন শিক্ষকরা

চ্যালেঞ্জ কঠিন হলেও শিক্ষকরা সরকারের 'আও ঘর মে শিখে' প্রকল্পের পাশে আছেন ৷ এই বিষয়ে ভিমথাল গভর্নমেন্ট হায়ার সিনিয়র স্কুলের প্রিন্সিপাল রূপ সিং ঝাকড় বলেন, "আমি শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার জন্য ৷"

s
গ্রামের গাছের ছায়ায় গুরুমশাই পড়াচ্ছেন ছাত্রদের

আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাসে পড়া বুঝতে অসুবিধা ? অর্থের সমস্যা ? শিক্ষকরা আছেন তো...

রাজস্থান শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর সৌরভ স্বামী বলেন, "রাজ্যের 75 লাখ পড়ুয়ার মধ্যে এমন অনেকেই আছে যাদের কাছে মোবাইল নেই ৷ অনেকের মোবাইল থাকলেও ইন্টারনেট সংযোগ নেই ৷ এই অবস্থায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিক্ষিকরা এবার থেকে এইসব পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পাঠ দেবে ৷ "

সোনার কেল্লার দেশে উটে চড়ে পড়ুয়াদের বাড়িতে গুরুমশাই

মহামারি বদলে দিয়েছে চেনা বাঁচা ৷ ক্রমশ 'নিউ নর্মাল'-এ অভ্যস্ত হচ্ছে মানুষ ৷ যার মধ্য়ে রয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ভার্চুয়াল মিটিং-মিছিল-আড্ডা ইত্যাদি ৷ কিন্তু যেখানে প্রযুক্তি দুর্বল সেখানে আরেক 'নিউ নর্মাল'-এর সাক্ষী দুনিয়া ৷ যেমন, বারমের-এর উটে সওয়ার শিক্ষক ৷

বারমের, 11 জুলাই : সোনার কেল্লার মুকুল পূর্বজন্মে পড়াশোনা করত কি-না, স্কুলে যেত কি-না তা জানা যায় না ৷ কিন্তু মহামারি পরিস্থিতিতে রাজস্থানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুকুলের বয়সি ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বাস্তবিক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ যেহেতু অনলাইনে ক্লাসের সুবিধা নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না ৷ সুখের কথা, গত 20 জুন থেকে রাজস্থান সরকারের শিক্ষা দফতরের বিশেষ প্রকল্পে ফের বই-খাতা-পেনের দেশে ফিরেছে ছেলেমেয়েরা ৷ তবে কি-না এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে জটায়ুর মতো উটে চড়ায় অপটু হলে চলবে না ৷ শিক্ষকদের রীতিমতো উটে চড়া শিখতে হচ্ছে ৷ সহ্য করতে হচ্ছে প্রখর রোদ আর বালির গরম ৷ এমনকী মরুঝড়ের আতিথেয়তার জন্য তৈরি থাকাও ভাল ৷ কেন ?

কারণ রাজস্থান সরকারের 'আও ঘর মে শিখে' প্রকল্প সেই সব দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য, যাদের মোবাইল নেই ৷ কিংবা মোবাইল থাকলেও এমন অঞ্চলের বাসিন্দা তারা, যে দূর মরুভূমি, রুক্ষ পাহাড়ের ঠিকানায় ইন্টারনেট আজও রূপকথা ৷ যেমন বারমের-এর মরুভূমির ভেতরের বেশ কয়েকটি গ্রাম ৷ যেখানে আজও অবধি যাকে বলে সড়কপথ তা নেই ৷ উটে সওয়ার হয়ে মরুভূমি ডিঙিয়ে যাতায়াতই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ৷ এমন দিকশূন্যপুরের, হলুদ বালির গ্রামের পড়ুয়ারা ফের পঠনপাঠনের স্বাদ পেতে শুরু করেছে 20 জুন থেকে ৷ প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি অবধি সপ্তাহে একদিন ও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে সপ্তাহে দু'দিন ছেলেমেয়েদের বাড়িতে গিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন মাস্টারমশাইরা ৷ শনিবার একটি সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত ভিডিয়োয় দেখা গেল, গুরুমশাইরা উটের পিঠে সওয়ার ৷ মরুভূমি ডিঙিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ঘরে ঘরে গিয়ে পড়াশোনা শেখাতে চলেছেন ৷ দেখা গেল শিক্ষককে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে গ্রাম ৷ তারপর গ্রামে পৌঁছালে গাছের ছায়ায় হচ্ছে পড়াশুনো ৷ ছাত্ররা ভীষণ খুশি ৷

s
উটে সওয়ার শিক্ষকদের অভ্যর্থনা গ্রামবাসীর

এক ছাত্রর কথায়, "আমাদের এখানে ইন্টারনেট নেই ৷ আমরা পড়াশুনো করতে পারছিলাম না ৷ গুরুমশাই উটে চড়ে আমাদের পড়াতে এসেছেন ৷ ধন্যবাদ তাঁকে ৷"

s
উটে চড়ে মরুভূমি ডিঙিয়ে ছাত্র পড়াতে চলেছেন শিক্ষকরা

চ্যালেঞ্জ কঠিন হলেও শিক্ষকরা সরকারের 'আও ঘর মে শিখে' প্রকল্পের পাশে আছেন ৷ এই বিষয়ে ভিমথাল গভর্নমেন্ট হায়ার সিনিয়র স্কুলের প্রিন্সিপাল রূপ সিং ঝাকড় বলেন, "আমি শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার জন্য ৷"

s
গ্রামের গাছের ছায়ায় গুরুমশাই পড়াচ্ছেন ছাত্রদের

আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাসে পড়া বুঝতে অসুবিধা ? অর্থের সমস্যা ? শিক্ষকরা আছেন তো...

রাজস্থান শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর সৌরভ স্বামী বলেন, "রাজ্যের 75 লাখ পড়ুয়ার মধ্যে এমন অনেকেই আছে যাদের কাছে মোবাইল নেই ৷ অনেকের মোবাইল থাকলেও ইন্টারনেট সংযোগ নেই ৷ এই অবস্থায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিক্ষিকরা এবার থেকে এইসব পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পাঠ দেবে ৷ "

সোনার কেল্লার দেশে উটে চড়ে পড়ুয়াদের বাড়িতে গুরুমশাই

মহামারি বদলে দিয়েছে চেনা বাঁচা ৷ ক্রমশ 'নিউ নর্মাল'-এ অভ্যস্ত হচ্ছে মানুষ ৷ যার মধ্য়ে রয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ভার্চুয়াল মিটিং-মিছিল-আড্ডা ইত্যাদি ৷ কিন্তু যেখানে প্রযুক্তি দুর্বল সেখানে আরেক 'নিউ নর্মাল'-এর সাক্ষী দুনিয়া ৷ যেমন, বারমের-এর উটে সওয়ার শিক্ষক ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.