আলিগড় , 29 সেপ্টেম্বর: 'মা রোজ মারে ৷ দয়া করে আমাকে আর আমার বাবাকে বাঁচান ৷' এই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ছোট্ট খুদে ৷ মায়ের হাত থেকে নিজেকে ও বাবাকে বাঁচাতে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছে শিশুটি। সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়৷ বিষয়টি সামনে আসার পর এসএসপি কালা নিধি নাইথানি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বান্না দেবী থানা এলাকার সুরক্ষা বিহার কলোনির বাসিন্দা আনশুল চৌধুরীর সঙ্গে ডিম্পল রাজপুতের বিয়ে হয়েছিল 9 বছর আগে। প্রায় দিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলতে থাকে ৷ এই অশান্তির মধ্যে পড়ে বিপাকে তাঁদের সন্তান ৷ নিষ্পাপ শিশুটিকে ভাইরাল ভিডিয়োতে বলতে শোনা যায়, "আমার মা আমাকে প্রতিদিন মারধর করে ৷ আমার বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। মা আমার বাবাকে বাসন ধুতেও বলে৷ দয়া করে পুলিশ আঙ্কল, আমার পুরো পরিবারকে বাঁচান ৷ দয়া করে পুলিশ আঙ্কল, আমাকে সাহায্য করুন, আমার পরিবারকে মায়ের হাত থেকে বাঁচান। মা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্লিজ আঙ্কল, আমাকে ও আমার পরিবারকে আমার মায়ের হাত থেকে বাঁচান।"
বাচ্চাটি আরও জানিয়েছে যে, তাঁর মা বাবাকে প্রচণ্ড মারধর করে ৷ মা, তাকে দিদার বাড়িতে বাসন ধোয়ানোর কাজ করায় ৷ ঘরের সব কাজ করায় ৷ বাবার সঙ্গে বাজে ভাষায় কথা বলে ৷ মা, বাবাকে জেলে পাঠিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয় ৷ এই ভিডিয়োটি সামনে আসার পর এসএসপি কালা নিধি নাইথানি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদের ঘটনা। এ ব্যাপারে এরিয়া অফিসারকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিশুটির বাবা আনশুল চৌধুরি বলেন, "আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম ৷ বর্তমানে আমার প্রাক্তন স্ত্রীর অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমার উপর বহুবার হামলা হয়েছে। মনোজ গৌতম আমাকে আক্রমণ করে এবং আমার স্ত্রী এই ঘটনায় জড়িত। 25শে ফেব্রুয়ারি আমি আমার স্ত্রীকে আমার বাবা-মায়ের বাড়িতে রেখে যাই। ডিভোর্সের মামলা করার পর সে আমার ওপর তিনবার হামলা করেছে। এ বিষয়ে বান্নাদেবী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি মনোজ গৌতমের কাছ থেকে হুমকিমূলক ফোনও পেয়েছি। সে বলে আমি 12টা খুন করেছি, এখন পরের খুনটা হবে তোমার আর তোমার সন্তানের। বর্তমানে আমার দুটি সন্তান রয়েছে, একটির বয়স 4 বছর এবং অন্যটির বয়স 2 বছর।"
আরও পড়ুন: কুকুরের তাড়া খেয়ে থানায় আশ্রয় আহত হরিণের
শিশুটির ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আর এক পুলিশ আধিকারিক বিশাল চৌধুরী জানিয়েছেন, বিহার থানা বান্না দেবী থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের খবর সামনে এসেছে ৷ তাঁদের বিয়ে হয়েছে 10 বছর আগে। উভয়পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দু'জনকেই কাউন্সেলিং সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।