নয়াদিল্লি, 6 নভেম্বর: যমুনা নদীতে (Yamuna River) ডুবে প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের ৷ 82 (বিরাশি) বছরের ওই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ সূত্রের দাবি, রবিবার ভোররাতে নিজেই যমুনায় ঝাঁপ দেন তিনি ! সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে যান ৷ পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিল্লির (North Delhi) তিমরপুর (Timarpur) এলাকার সুর ঘাটে (Sur Ghat) ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম জয়প্রকাশ গর্গ (Jai Prakash Garg) ৷ তিনি আদর্শ নগরের (Adarsh Nagar) বাসিন্দা ছিলেন ৷ রবিবার ভোররাতে সাড়ে তিনটে নাগাদ নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করতেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ ব্যবসায়ী ৷ ভোরের আলো ফোটার আগেই নিজের স্কুটার নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি ৷ সেখান থেকে পৌঁছে যান সুর ঘাটে ৷ তারপর সটান ঝাঁপ মারেন নদীতে ৷
আরও পড়ুন: বেআইনি নিয়োগ ! হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে আত্মহত্যা শিক্ষকের
পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি চিঠি রেখে যান তিনি ৷ সেই চিঠিটিকেই সুইসাইড নোট হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে ৷ সেই শেষ চিঠিতে পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে জয়প্রকাশ লেখেন, তিনি তাঁর স্কুটারটি নিয়ে ওয়াজিরাবাদের দিকে যাচ্ছেন এবং তাঁর এই স্কুটারটি সুর ঘাটের কাছে দাঁড় করানো থাকবে ৷ ওই একই চিঠিতে বৃদ্ধ লিখেছেন, ব্য়বসা চালাতে গিয়ে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন তিনি ৷ যা সামলে ওঠা তাঁর পক্ষে কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ আর এই কারণেই তিনি নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন (Businessman Died by Suicide) !
প্রসঙ্গত, গাজিয়াবাদে একটি রং তৈরির কারখানা রয়েছে জয়প্রকাশের ৷ ইতিমধ্যেই যমুনা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ তারা জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত হয়ে গেলেই জয়প্রকাশের দেহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৷ তাঁর দুই ছেলে রয়েছে ৷ তাঁরা দু'জনই বিবাহিত ৷ আপাতদৃষ্টিতে এটি ঋণের দায়ে আত্মহত্য়ার ঘটনা বলে হলেও এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা ৷