রাঁচি, 5 এপ্রিল: এক মহিলা ও দুই শিশুর ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে ৷ তিনটি দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে, যার জেরে তাদের শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান খালারির ডিএসপি অনিমেষ নৈথানি ও ঠাকুরগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক ৷ মামলার তদন্ত শুরু করেছে ঠাকুরগ্রাম থানার পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে দগ্ধ অবস্থায় তিনটি দেহ পড়ে থাকার কথা জানতে পারে ঠাকুরগ্রাম থানার পুলিশ ৷ স্থানীয়রাই ফোন করে পুলিশকে খবর দেয় ৷ বাগদা উপত্যকায় এক মহিলা ও দুই শিশুর দগ্ধ অবস্থায় দেহ পড়ে রয়েছে শুনে ঘটনাস্থলে যায় ঠাকুরগ্রাম থানার পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে নিহতদের কারও পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অন্য কোথাও হত্যার পর এই তিনজনের দেহ বাগদা উপত্যকায় এনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
খুনের ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । খালারি ডিএসপি অনিমেষ নৈথানিও তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসেন ৷ স্থানীয় লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এ বিষয়ে ৷ যদিও এখনও কোনও তথ্য হাতে আসেনি পুলিশের ৷ পরে রাঁচি থেকে ডগ স্কোয়াড এবং ফরেনসিক দল এসে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে কেরোসিনের নমুনা পেয়েছে ফরেনসিক দল। পুলিশের ধারণা, তিনজনকেই প্রথমে খুন করে পরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বছরের কন্যাসন্তানকে গলা কেটে খুন করল বাবা !
অন্য়দিকে, এখনও ওই মহিলা এবং দুই শিশুর পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ ৷ এই পরিস্থিতিতে, রাঁচির সব থানায় মহিলা এবং শিশুর নিখোঁজ অভিযোগ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি রামগড় এবং চাতরা এই দুই জেলায় কেউ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছে পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে রাঁচি পুলিশও রামগড় ও চাতরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। খালাড়ির ডিএসপি অনিমেষ নৈথানি বলেন, "ঘটনাস্থলে দেহ শনাক্ত করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ কটি দেহ আছে তাও বলা এখন সম্ভব হচ্ছে না ৷ কারণ, শিশুদের দেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে দু'টি শিশু নাকি তিনটি শিশু তা নিশ্চিত করা কঠিন। ফরেনসিক দল গোটা ঘটনার বিষয়টি দেখছে।"