ETV Bharat / bharat

Manipur Violence: মণিপুরে কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ বিএসএফ জওয়ান, আহত দুই

মঙ্গলবার ভোরে মণিপুরের সেরু এলাকায় কুকি জঙ্গিরা বিএসএফের শিবিরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ৷ গুলির লড়াইয়ে এক বিএসএফ জওয়ান শহিদ হন ৷ অসম রাইফেলসের দুই জওয়ান আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

Manipur Violence
Manipur Violence
author img

By

Published : Jun 6, 2023, 3:55 PM IST

ইম্ফল, 6 জুন: বিএসএফের এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন মণিপুরে ৷ মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ৷ ওই ঘটনায় অসম রাইফেলসের দু’জন আহতও হয়েছেন ৷ মণিপুরের সেরু এলাকায় সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে ৷

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কাকচিং জেলার সুগনুর সেরু এলাকার একটি স্কুলে দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে । বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন কুকি দুষ্কৃতীরা ভোর 4টে 15 মিনিট নাগাদ সেরু প্রাকটিক্যাল হাই স্কুলে মোতায়েন বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে । গুলির লড়াইয়ের সময় কনস্টেবল রঞ্জিত যাদব গুলিবিদ্ধ হন ৷ তাঁকে কাকচিং জীবন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ৷

টুইটারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পসের ডিমাপুরে সদর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অসম রাইফেলসের দু'জন আহত জওয়ানকে বিমানে মণিপুরের মন্ত্রীপুখরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে ৷ অন্যদিকে ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেখানে অনুসন্ধান অভিযান চলছে ৷ তবে আহত জওয়ানদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি ৷

প্রসঙ্গত, গত 3 মে থেকে উত্তপ্ত মণিপুর ৷ সেখানে উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ অনেকের প্রাণ যায় ৷ অনেকে আহত হন ৷ পরিস্থিতি সামলাতে শুট অ্যাট সাইট বা গোলমাল দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ তাছাড়া সেনা, অসম রাইফেলস ও আধাসেনা মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় ৷ অনেক মানুষকে বাঁচাতে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন সেনা জওয়ানরা ৷

তার পর পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হলেও মাঝেমাঝেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ৷ এরই মধ্যে মণিপুর সফর করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তিনি ওই রাজ্যের সরকারের সঙ্গে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ৷ তাছাড়া জনজাতি গোষ্ঠীগুলি অস্ত্র নিয়ে আত্মসমর্পণেরও আবেদন করেন ৷ তার পর অনেকে আত্মসমর্পণও করেন ৷ অনেকে অস্ত্রও জমা দেন ৷

তার মধ্যেই মঙ্গলবার ভোরে সেরু এলাকায় যে ঘটনা ঘটল, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে প্রশাসন ৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে যে নতুন করে আবার গোলমাল ছড়াতে পারে উত্তর পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যে ৷ শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেটাই এখন দেখার !

আরও পড়ুন: মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সরকার বদ্ধপরিকর: শাহ

ইম্ফল, 6 জুন: বিএসএফের এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন মণিপুরে ৷ মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ৷ ওই ঘটনায় অসম রাইফেলসের দু’জন আহতও হয়েছেন ৷ মণিপুরের সেরু এলাকায় সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে ৷

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কাকচিং জেলার সুগনুর সেরু এলাকার একটি স্কুলে দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে । বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন কুকি দুষ্কৃতীরা ভোর 4টে 15 মিনিট নাগাদ সেরু প্রাকটিক্যাল হাই স্কুলে মোতায়েন বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে । গুলির লড়াইয়ের সময় কনস্টেবল রঞ্জিত যাদব গুলিবিদ্ধ হন ৷ তাঁকে কাকচিং জীবন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ৷

টুইটারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পসের ডিমাপুরে সদর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অসম রাইফেলসের দু'জন আহত জওয়ানকে বিমানে মণিপুরের মন্ত্রীপুখরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে ৷ অন্যদিকে ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেখানে অনুসন্ধান অভিযান চলছে ৷ তবে আহত জওয়ানদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি ৷

প্রসঙ্গত, গত 3 মে থেকে উত্তপ্ত মণিপুর ৷ সেখানে উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ অনেকের প্রাণ যায় ৷ অনেকে আহত হন ৷ পরিস্থিতি সামলাতে শুট অ্যাট সাইট বা গোলমাল দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ তাছাড়া সেনা, অসম রাইফেলস ও আধাসেনা মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় ৷ অনেক মানুষকে বাঁচাতে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন সেনা জওয়ানরা ৷

তার পর পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হলেও মাঝেমাঝেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ৷ এরই মধ্যে মণিপুর সফর করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তিনি ওই রাজ্যের সরকারের সঙ্গে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ৷ তাছাড়া জনজাতি গোষ্ঠীগুলি অস্ত্র নিয়ে আত্মসমর্পণেরও আবেদন করেন ৷ তার পর অনেকে আত্মসমর্পণও করেন ৷ অনেকে অস্ত্রও জমা দেন ৷

তার মধ্যেই মঙ্গলবার ভোরে সেরু এলাকায় যে ঘটনা ঘটল, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে প্রশাসন ৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে যে নতুন করে আবার গোলমাল ছড়াতে পারে উত্তর পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যে ৷ শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেটাই এখন দেখার !

আরও পড়ুন: মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সরকার বদ্ধপরিকর: শাহ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.