নয়াদিল্লি, 1 অক্টোবর: দিল্লিতে সদর দফতরে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে বসেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ তেলেঙ্গানা সফর মাঝ পথে ছেড়ে দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ৷ রবিবার রাতের বৈঠকে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা-সহ হাজির ছিলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সকল সদস্যই ৷ ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল-সহ ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতারা ৷
কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকের জন্য দিল্লিতে দলের সদর দফতরে পৌঁছে গিয়েছেন বসুন্ধরারাজে সিন্ধিয়া, দেবেন্দ্র ফড়নবিশও ৷ বিজেপি সূত্রে খবর, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে মূলত প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্যই এই বিশেষ বৈঠকে বসেছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ বিজেপি নেত্রী এবং রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকেও দেখা গিয়েছে এদিনের বৈঠকে ৷ দলের নেতা গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং প্রহ্লাদ জোশীও দলের সদর দফতরে পৌঁছেছেন। এর আগে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার বাসভবনে পৌঁছেছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহ-সহ দলের শীর্ষ নেতারা নির্বাচন কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে রাত আটটা থেকে বৈঠকে বসেন ৷
জানা গিয়েছে, রাজস্থানের প্রায় 60 থেকে 70টি আসনের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে ৷ অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ের 31 টি আসনের প্রার্থীদের নামে এদিন অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচনী কমিটি ৷ বিজেপি দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপি তার নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করতে এই মুহূর্তে ব্যস্ত। মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়-সহ পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক কৌশল নিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: 'দুর্বলের রক্ষাই হিন্দুর ধর্ম,' দুই পাতায় হিন্দুত্ব নিয়ে 'মন কি বাত' রাহুলের
দলের তরফে জানা গিয়েছে, এই রাজ্যগুলির সমস্ত আসনকে মূলত এ, বি, সি এবং ডি পৃথক বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে ৷ ক্যাটাগরি 'এ'-তে এমন আসনগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে দল ধারাবাহিকভাবে ভাল ফল করেছে ৷ 'বি' বিভাগে এমন আসনগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেখানে বিজেপির জয়ের মিশ্র রেকর্ড রয়েছে ৷ কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিও হয়েছে দলের।
তেমনই ক্যাটাগরি সি-এর মধ্যে সেই আসনগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে গেরুয়া শিবির যেখানে দল তুলনামূলকভাবে দুর্বল বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, ক্যাটাগরি 'ডি' আসনগুলি মূলত গত তিনটি নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। (এএনআই)