নয়াদিল্লি, 9 ফেব্রুয়ারি: চলতি মাসের 13 তারিখ পর্যন্ত দলের সমস্ত সাংসদকে লোকসভায় উপস্থিত থাকতেই হবে ৷ এই মর্মে বৃহস্পতিবার থ্রি-লাইন হুইপ জারি করেছে বিজেপি (BJP issues Whip in Lok Sabha) ৷ অর্থাৎ চলতি বাজেট অধিবেশনে আগামী 13 তারিখ পর্যন্ত লোকসভায় আর অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না-শাসকদলের কোনও জনপ্রতিনিধি ৷
উল্লেখ্য, গত 31 জানুয়ারি থেকে সংসদে এবারের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে ৷ প্রথা মাফিক ওই দিন রাজ্যসভা ও লোকসভাকে উদ্দেশ করে যৌথ ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ তারপরই শুরু হয় অধিবেশনের কাজ ৷ দ্রৌপদী মুর্মুর আমলে এটাই প্রথম বাজেট অধিবেশন ৷ সেই অধিবেশন শুরুর ভাষণে বহু ইস্যু ছুঁয়ে যান রাষ্ট্রপতি ৷
আরও পড়ুন: বন্ধু বলেই এই হারে সম্পদ বেড়েছে আদানির ? মোদিকে মৌনীবাবা বলে তীব্র কটাক্ষ খাড়গের
দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর ভাষণে ভারতের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, মহাকাশ গবেষণা, নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে নানা কথা বলেন ৷ তাঁর ভাষণের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল 'অমৃত কাল' ৷ স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তিতে সামগ্রিকভাবে এক উন্নত ভারত গড়ার বার্তা দেন তিনি ৷ তাঁর মতে, এই মুহূর্তে ভারতে এমন এক সরকার রয়েছে, যে সরকার 'স্থিতিশীল, ভয়হীন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমর্থ' ৷ দ্রৌপদীর দাবি, ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে ব্রতী ৷ তারা কোনও ভেদাভেদে বিশ্বাস করে না এবং বিকাশের ধারা অব্যাহত রাখতে গিয়ে ভারতের ঐতিহ্যও ভুলে যায় না ৷ একইসঙ্গে, ওই দিন নিজের ভাষণে দুর্নীতি ইস্যুতেও সরব হন দেশের প্রথম নাগরিক ৷ তিনি বলেন, "গণতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের সবথেকে বড় শত্রু হল দুর্নীতি ৷" তবে, দ্রৌপদী মুর্মু সংশ্লিষ্ট ভাষণে মোদি সরকারকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেও তাঁর এই ভাষণের তীব্র সমালোচনা করে বিরোধী পক্ষ ৷
এদিকে, এবারের বাজেট অধিবেশন শুরু থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে ৷ আদানি ইস্যুতে কেন্দ্রকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে বিরোধীরা ৷ এই ইস্যুতে নিয়মিত আলোচনা ও বিতর্ক চায় বিরোধীরা ৷ তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে নির্দিষ্টভাবে এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পেশ করতে হবে ৷ এই প্রেক্ষাপটে বুধবার লোকসভায় তাঁর জবাবি ভাষণ পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ কিন্তু, বিরোধীদের দাবি মেনে আদানি সম্পর্কে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি তিনি ৷ বরং পালটা বিরোধীদের আক্রমণের পথে হেঁটেছেন ৷
নাম না করে নিশানা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধিকে ৷ কংগ্রেস নেতৃত্বে চলা ইউপিএ সরকারের একাধিক দুর্নীতি নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী । তাঁর মতে 2004 সাল থেকে 2014 সাল পর্যন্ত সময়কাল ভারতের জন্য 'লস্ট ডিকেড'। এই অবস্থায় লোকসভার অন্দরে বিরোধীদের মোকাবিলা করতে পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করতে চায় সরকার পক্ষ ৷ সেই কারণেই বৃহস্পতিবার এই হুইপ জারি করা হল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷