লুধিয়ানা, 11 অক্টোবর: লুধিয়ানার প্রাচীন গোশালায় (Ludhiana ancient Goshala) এক ঝাঁক ইচ্ছে ডানা ! প্রতিদিন হাজার হাজার পাখি খেতে আসে এখানে । পাখিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাও করা হয় ছোট হাসপাতালে (Birds Hospital in Ludhiana)৷ সেখানে অসুস্থ পাখিদের যত্ন সহকারে চিকিৎসা করা হয় । এখানকার 90 শতাংশ পাখিই পায়রা ৷ পাখিদের জন্য হাসপাতালে রয়েছে আইসিইউ ও জেনারেল ওয়ার্ড ৷
বেশিরভাগ পায়রাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় প্রথমে আইসিইউতে রাখা হয় এবং চিকিৎসার পর সেটিকে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয় । এখানকার পাখিদের খাবার দিতে প্রতিদিন আসেন কয়েকশো মানুষ । বছরের পর বছর ধরে চলছে এই পাখি সেবা । মানুষজন গোয়ালঘরে যখন গবাদি পশুকে খাওয়াতে আসেন, তখনই তাঁরা পায়রাগুলিরও খাওয়ার ব্যবস্থা করেন ৷ এখানে পাখিদের সব ধরনের চিকিৎসা করা হয় । যে সব পাখি এখানে খাবারের খোঁজে আসে, সেগুলি ছাড়াও অসুস্থ পাখিদের খুঁজে বের করে এনে চিকিৎসা করা হয় (Birds in Ludhiana)।
পাখিদের হাসপাতাল
রমেশ বহু বছর ধরে লুধিয়ানার প্রাচীন গোয়ালঘরের সেবা করে চলেছেন ৷ তিনি জানালেন, "বহু বছর ধরে এখানে আছি । যারা পাখি পালন করেন, তাঁদের পাখি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁরা আমাদের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন । পায়রা ছাড়াও চড়াই এবং তোতা পাখিরও চিকিৎসা হয় এখানে । আমাদেরকে গোশালা থেকে ওষুধ দেওয়া হয় পাখিদের চিকিৎসার জন্য ৷ কিছু মানুষও পাখিদের ওষুধ দান করেন ৷"
পাখির আইসিইউ
রমেশ জানান, এখানে পাখিদের আইসিইউ বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ৷ যেসব পাখি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাদের আইসিইউ-তে রাখা হয় এবং চিকিৎসা শেষে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয় । পাখিগুলোকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয় যাতে তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে ।
আরও পড়ুন: সামনে পুলিশ সুপারের দফতর, দেদার বিক্রি হচ্ছে খাঁচাবন্দি পাখি
মানুষের বিশ্বাস
এই পাখিগুলির সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসও জড়িত । প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে পাখিদের খাওয়ান ৷ বেশিরভাগই পাখিদের জন্য ডাল, ছোলা ইত্যাদি খাবার নিয়ে আসেন । পাখিদের খাওয়াতে আসা লোকজন জানালেন, বহু বছর ধরে এই পাখিদের খাওয়ানোর সঙ্গে তাঁদের বিশ্বাস ও ভালোবাসা জড়িয়ে রয়েছে ৷ এখানে এসে তাঁরা মনের শান্তি পান ৷ ইতিবাচক শক্তি পান ।
পাখির প্রকারভেদ
প্রতিদিন হাজার হাজার পাখি এসে লুধিয়ানার এই গোয়ালঘরে তৈরি প্ল্যাটফর্ম থেকে খাবার নিয়ে যায় ৷ সাদা ও ধূসর পায়রায় ভরে যায় চারিদিক ৷ লোকজন তাদের পোষা পায়রাও নিয়ে আসেন । এছাড়াও এই প্ল্যাটফর্মে একটি জলের ফোয়ারা রয়েছে ৷ যেখানে পাখিরা এসে জলপান করে ৷ গরমের সময় পাখিদের কাছে এটা একটা আরামের জায়গা ৷ এখানে এসে মানুষ ও পাখির দূরত্ব কমে ৷ মানবজাতিকে ভয় না পেয়ে এখানকার পাখিরা তাদের হাত থেকে খাবার খায় । বিশ্বাসের জায়গাটা তৈরি হয়েছে এতটাই ৷