লখনউ, 25 এপ্রিল : লকডাউনের একমাস । অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো নিষেধ । জারি রয়েছে লকডাউন আইনও । কিন্তু দেশের সব রাজ্যেই প্রায় একই ছবি ধরা পড়ছে । লকডাউন অমান্য করেই ফাঁকা রাস্তায় ক্রিকেট খেলা, টিকটক ভিডিয়ো বানানো বা বাড়ির গলিতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আড্ডা চলছেই । পুলিশ-প্রশাসনের চেষ্টায় বড় রাস্তাগুলিতে নজরদারি চালিয়ে, নাকা চেকিংয়ের মাধ্যমে ভিড় কমানো গেলেও, অলিগলিতে ড্রোন উড়িয়েও লাভ হচ্ছে না । কীভাবে আটকানো যাবে অলিগলির ভিড় ? বারাণসীর যুবক সেই ভেবেই বানিয়ে ফেলেছে একটি যন্ত্র । অলিগলিতে একজনের বেশি জমায়েত হলেই ধরে ফেলবে এই যন্ত্রটির সেনসর । খবর পৌঁছে যাবে পুলিশ স্টেশনে ।
বারাণসীর শ্যাম চৌরাসিয়া । হাতের কাছে থাকা জিনিস দিয়ে মাঝে মধ্যেই তিনি অনেক নতুন কিছু বানিয়ে ফেলেন । এবারও লকডাউনে বাড়িতে বসে বানিয়ে ফেললেন এই যন্ত্র । নাম দিলেন, জুগাড়ু হাই-টেক অ্যালার্ম । কীভাবে কাজ করবে এই অ্যালার্ম ? রাস্তায় অ্যালার্মটি লাগানো থাকলে এর সামনে দিয়ে একজনের বেশি কেউ এলে এর মধ্যে থাকা সেনসর প্রথমে চিহ্নিত করবে সেটি । তারপর বাজতে থাকবে অ্যালার্ম । যদি অ্যালার্মে সমস্যা হয় তাহলে লোকজনের পায়ের আওয়াজ শোনা যাবে তার বদলে । শ্যামের কথায়, যা জানান দেবে লকডাউনে রাস্তায় বেরোনো বা একজায়গায় অনেকের জড়ো হওয়া উচিত নয় । এরপর এই যন্ত্রে থাকা সিম কার্ড নিজে থেকেই অ্যাাক্টিভেট হবে এবং সেভ করা নম্বরে ফোন চলে যাবে । এক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের নম্বরই দেওয়া থাকবে । দেওয়া থাকবে পুলিশ আধিকারিকের নম্বরও । যদি পুলিশ স্টেশন ফোন না ধরে তাহলে ফোনটি যাবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের কাছে । পুলিশ বুঝতে পারবে কোথায় লকডাউন অমান্য করা হচ্ছে ।
কীভাবে তৈরি হল এই যন্ত্র ? কী দিয়েই বা তৈরি হল এটি ? শ্যাম জানাচ্ছেন, বাড়িতে থাকা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, দু'টো সিম আর বাড়িতে থাকা ছোটোখাটো জিনিস দিয়ে সহজেই এটি বানিয়ে ফেলেছেন তিনি । পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্র নিজের বাড়ির নিচে লাগিয়েছিলেন তিনি । যার প্রয়োগে রীতিমতো ভয় পেয়েছেন লকডাউন অমান্যকারীরা ।