দিল্লি , 14 অক্টোবর : ভারত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে এবং সশস্ত্র বাহিনীর যা প্রয়োজন তা দেশের মধ্যেই উৎপাদন করতে পারে । 40 দিনে ডিফেন্স রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন (DRDO)-র বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রে পরীক্ষা সফল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ এমনটাই ঘোষণা করলেন DRDO প্রধান সতীশ রেড্ডি ৷
ডিফেন্স রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন (DRDO) গত পাঁচ সপ্তাহে প্রায় 10 টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল হয়েছে ৷ যার মধ্যে রয়েছে শৌর্য হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র , ব্রহ্মোস , পৃথ্বী পারমাণবিক-সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র , রুদ্রম-I ইত্যাদি ৷ একটি সাক্ষাৎকারে DRDO প্রধান সতীশ রেড্ডি বলেন , "আমি একটি কথা বলতে চাই , দেশ যেভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় এবং বিশেষত গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে যেভাবে নিজেকে বিকশিত করেছে , বিভিন্ন পরীক্ষায় যেভাবে অগ্রগতি হয়েছে , তাতে ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে ভারত সম্পূর্ণ স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে ৷"
ক্ষেপণাস্ত্র আমদানি বন্ধ করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর কোনও প্রয়োজন আছে কি না , সেই সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন , "সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী আমরা এখন যে কোনও ধরনের অস্ত্র উৎপাদন করতে সক্ষম ৷ বেসরকারি সেক্টরও আমাদের সঙ্গে অংশীদার হতে পারে, আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী তারা সিস্টেমটি বিকাশ করতে পারে ৷ "
পূর্ব লাদাখে যখন ভারত-চিন অশান্তি অব্যাহত তখন এই সময়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কতটা সফল বা তার শক্তি কতটা তা জানতে চাইলে রেড্ডি বলেন , DRDO আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সজ্জিত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।এমনকী , কোরোনা পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছেন । প্রত্যেকেই প্রস্তুত থাকে ৷ তাই যখনই কোনও সিস্টেম তৈরি হয় , আমরা বারবার তার পরীক্ষা চালিয়ে যাই ৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত DRDO-র অবদান কী তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে DRDO প্রধান বলেন, " DRDO অনেক ক্ষেত্রে কাজ শুরু করে দিয়েছে এবং এখন আমি খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে আমরা শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র , রাডার , বন্দুক এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদির ক্ষেত্রে আমরা এখন আত্মনির্ভর ৷ "
তিনি আরও বলেন , “ DRDO বিজ্ঞানীরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সিস্টেমের দিকে নজর রাখছেন যা এখন আমদানি হচ্ছে এবং দেশীয় ব্যবস্থায় তৈরির চেষ্টা করছে এবং দেশীয়ভাবে সিস্টেম বিকাশের জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে।